Quantcast
Channel: NSSB
Viewing all 364 articles
Browse latest View live

সুরেলা চাতক

$
0
0


10 July 2016।

আ ন ম আমিনুর রহমানঃ

বিশ্ব পরিবেশ দিবসের (০৫-০৬-২০১৬) সকালে পাখি পর্যবেক্ষণের পুরোনো সঙ্গী কামালকে নিয়ে নিজের কর্মস্থল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের গাছপালা-ঝোপঝাড়পূর্ণ এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলাম। কৃষি বনায়ন বিভাগের আমলকী বাগানের কাছে আসতেই নানা প্রজাতির পাখি চোখে পড়ল। সবগুলোই ছিল চেনাজানা পাখি। হঠাৎ কামাল খোঁপাওয়ালা এক অচেনা পাখি দেখে চিৎকার করে উঠল। পাখিটিকে ফ্রেমে এনে যেই না ক্লিক করব, ঠিক তখনি ওর মতো আরেকটি পাখি এসে হাজির হলো। এরপর দুজনে উড়ে গিয়ে সামনের ঘাসভরা জমির পাশের গজারিগাছে বসল। ওদের বেশ কিছু ছবি তুললাম। সাদা-কালো খোঁপাধারী এই পাখিটি এক প্রজাতির দুর্লভ কোকিল চাতক (Pied Cuckoo, Pied Crested Cuckoo বা Jacobin Cuckoo)। পাপিয়া বা পিঁউকাহা নামেও পরিচিত। Cuculidae গোত্রের এই কোকিলটির বৈজ্ঞানিক নাম Clamator jocobinus. চাতক লম্বালেজি ঝুঁটিযুক্ত কোকিল। ঠোঁটের আগা থেকে লেগের ডগা পর্যন্ত দৈর্ঘ্যে ৩৩ সেন্টিমিটার, যার মধ্যে লেজটিই ১৬ সেন্টিমিটার। ওজন মাত্র ৬৫ গ্রাম। মাথায় কালো ঝুঁটি, দেহের উপরিভাগ কালো ও নিচটা সাদা। লেজের ডগায় সাদা দাগ ও পাখার প্রান্তে সাদা ছোপ। চোখ বাদামি ও ঠোঁট কালো। পা ও পায়ের পাতা ধূসর-কালো এবং নখ কালো। অপ্রাপ্তবয়স্কগুলোর পিঠ ধূসর-বাদামি, গলা-বুক ধূসর ও দেহতলে পীতাভ আভা রয়েছে। চাতক গ্রীষ্মের পরিযায়ী পাখি। এরা বছরের পর বছর একই দিনে এই জায়গায় পরিযায়ন করে। গ্রীষ্মকালে এ দেশের বন, বাগান, আবাদি জমি, খামার, ঝোপঝাড় সর্বত্রই দেখা যায়। শীতকালে এরা পূর্ব আফ্রিকায় বাস করে। এশিয়ায় এদের বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারে দেখা যায়। সচরাচর একাকী, জোড়ায় বা পাঁচ-ছয়টির ছোট দলে থাকে। ঘন ঝোপ বা পাতাঘেরা গাছে লুকিয়ে খাবার খায়। প্রজাপতি ও মথের শূককীট, ছারপোকা, উঁইপোকা, পিঁপড়া ইত্যাদি প্রিয় খাবার। জুন থেকে আগস্ট এদের প্রজননকাল। যেহেতু এরা কোকিল পরিবারের পাখি, তাই কখনোই বাসা বানায় না, আর ডিমে তা দেওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। স্ত্রী চাতক লুকিয়ে লুকিয়ে পোষক পাখির বাসায় তার পাড়া দু-তিনটি ডিম ফেলে দিয়ে ঠিক একই রঙের প্রায় সমান আকারের দু-তিনটি ডিম পাড়ে। সচরাচর একাধিক বাসায় ডিম পাড়ে। এরা সাধারণত ফিঙে, বুলবুল, ছাতারে প্রভৃতি পাখির বাসায় ডিম পাড়তে পছন্দ করে। চাতকের ডিম সচরাচর পোষক পাখির ডিমের আগে ফোটে ও চাতকের সদ্য ফোটা অন্ধ বাচ্চা পোষক পাখির অনুপস্থিতিতে তার নিজস্ব ডিমগুলোকে পিঠ দিয়ে ঠেলে ঠেলে ফেলে দেয়। এভাবেই পরজীবী এই চাতক ছানা অন্য পাখির বাসায় প্রতিপালিত হয়ে একদিন নীল আকাশে ডানা মেলে।

Source: www.prothom-alo.com/bangladesh/article/910060

Photo Source: www.prothom-alo.com/bangladesh/article/910060

The post সুরেলা চাতক appeared first on NSSB.


মৃত্যু শঙ্কায় সেই হাতি

$
0
0


10 July 2016। রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত দিয়ে বানের পানিতে ভেসে আসা বুনো হাতির মৃত্যু শঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রয়োজনীয় খাবার, সঙ্গীর অভাব ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে না পেরে ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়েছে হাতিটি। আগের মতো চলাফেরা করতে না পারায় হাতিটি সাত দিন ধরে একই চরে অবস্থান করছে। রাজীবপুরের অধীনে ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে চড়াই হাটি চরে গতকাল শনিবার পর্যন্ত অবস্থান করছিল হাতিটি। গতকাল পর্যন্ত তাকে উদ্ধারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ঘটনাস্থলে থাকা বন বিভাগের পর্যবেক্ষণদলের প্রধান ঢাকা সাফারি পার্কের পরিদর্শক (বন্য প্রাণী) জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘হাতিটিকে নিয়ে আমরা বিপাকে পড়েছি। ভারতীয় দল আসার কথা বলে এখনো তারা আসছে না। এ অবস্থায় হাতিটিকে ফেলে রেখেও আমরা যেতে পারছি না।’ ঘটনাস্থলে থাকা রাজশাহী বন্য প্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী সার্জন ডা. সোহেল রানা বলেন, ‘হাতিটি দুর্বল হয়ে পড়ছে। এভাবে আর বেশি দিন টিকবে না। যেকোনো সময় মৃত্যুর মুখে পড়তে পারে। কারণ তার যে পরিমাণ খাবার দরকার, তা পাচ্ছে না।’ ব্রহ্মপুত্র নদের চড়াই হাটি চরের ইউপি সদস্য নুরুল হক বলেন, ‘আমার মনে হয় কলাগাছ কেটে নিয়ে হাতিটিকে দেওয়া উচিত। বন বিভাগের দল দিনে একবার করে দেখে তারা চলে যায়। হাতিটি খাবার পাচ্ছে কি না, তা তারা দেখে না।’ উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন ভারতের আসাম রাজ্যের শিশুমারা পাহাড়ি এলাকার ওই বুনো হাতি রৌমারীর সাহেবের আলগা সীমান্তে বানের পানির স্রোতে ভেসে বাংলাদেশের প্রবেশ করে। স্রোতের পানিতে ভাসতে ভাসতে নদের চরবাগুয়ার চরে আটকে পড়ে। এরপর চারবার অবস্থান বদল করে হাতিটি।

Source: www.kalerkantho.com/print-edition/priyo-desh/2016/07/10/379064

Photo Source: www.kalerkantho.com/print-edition/priyo-desh/2016/07/10/379064

The post মৃত্যু শঙ্কায় সেই হাতি appeared first on NSSB.

উদ্ভিদ দেহে ক্যান্সার সৃষ্টিতে লিফ গলের ভূমিকা

$
0
0
আমের পাতায় Juvinile leaf gall

আমের পাতায় Juvinile leaf gall

বিজ্ঞানীরা ক্যান্সারকে জয় করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কতক সমাধান হয়েছে আর কতক এখনো তিমিরেই আছে। ক্যান্সার শব্দটি শুধু মাত্র মানব জাতির জন্যই প্রযোজ্য নয়। যাদের উপর আমরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে নির্ভরশীল সেই উদ্ভিদেরও ক্যান্সার হয় কিন্তু আমরা তার খোঁজ রাখি না।

আমের পাতায় পরিপক্ক Leaf gall

আমের পাতায় পরিপক্ক Leaf gall

কিছু কিছু উদ্ভিদের পাতায় কালো বা সবুজ রঙের ছোট ছোট মটরশুঁটি আকারের বা তার চেয়ে একটু বড় দানার মত দেখতে পাওয়া যায় যা সাধারণত Leaf Gall নামে পরিচিত। এই গল তৈরির খলনায়ক হিসেবে কাজ করে এক প্রকার ক্ষুদ্রাকৃতির Wasp. যদি আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয় তবে উদ্ভিদের ডালপালা বা কাণ্ডে সৃষ্ট গলের কারণে যে ক্ষত তৈরি হয় এর জন্য প্রধান ভূমিকা পালনকারী পোকারা হল Callirhytis cornigera ও C. quercuspunctata এদের দ্বারা সৃষ্ট ক্ষত স্থানের টিস্যু গুলো দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে ক্যান্সার সৃষ্টি করে। সেখানে উৎপন্ন নরম টিস্যু খাবার জন্য পোকামাকড় ও পিঁপড়ার আক্রমণ ঘটে এবং সামান্য বাতাসে হঠাৎ বড় বড় ডালপালা ভেঙ্গে যায়। এক পর্যায়ে উদ্ভিদের মৃত্যু ঘটে।

Life cycle of a leaf gall

Life cycle of a leaf gall

যদি একটু সহজ করে বলি Gall হল উদ্ভিদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা উদ্ভিদ টিস্যুর গঠন আকৃতি ফোলে যাওয়া কে বুঝায়। যে সকল পোকা গল তৈরি করে এদের জীবনচক্র খুবই পরিবর্তনশীল ও বিচিত্র। একটি উদ্ভিদের কাষ্ঠল অংশ বা ডালপালায় গল পরিপক্ব হতে প্রায় ২ বছর সময় লাগে। Gall উৎপন্ন কারি wasps গুলো সাধারণত হোস্ট উদ্ভিদে শীতের সময় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে। বসন্তে যখন গাছের নতুন কুঁড়ি ও পাতা গজায় তখন ছোট ছোট wasps গুলি কচি পাতা ও কুঁড়িতে তাদের ডিম দিতে শুরু করে।

এই পোকার আক্রমনে লিফ গলের সৃস্টি হয় আমের ডালে সৃস্ট gall এর কারনে প্লান্ট টিস্যুর অস্বাভিক বৃদ্ধিতে ক্যান্সার সৃস্টি হয়েছে আমার শাখায় gall তৈরির প্রাথমিক অবস্থা লেবু জাতীয় উদ্ভিদের কান্ডে সৃস্ট গল

ডিম দেয়ার সময় ও লার্ভা অবস্থায় wasps গুলি এদের শরীরে অবস্থিত বিশেষ ধরনের গ্লান্ড থেকে growth-regulating ক্যামিকেল (2,4-dichloro-phenoxyacetic acid) নিঃসরণ করে যা উক্ত উদ্ভিদে প্রাপ্ত ক্যামিকেল ও ফাইটোহরমোনের সাথে পারস্পরিক বিক্রিয়া সংঘটিত করে ও উদ্ভিদ টিস্যুর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটায়। একটা লম্বা সময় ধরে উদ্ভিদ কোষের বৃদ্ধি ঘটার পর একসময় গলের বৃদ্ধি সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয় ততক্ষণে উদ্ভিদ কোষের যেটুকু সর্বনাশ হওয়ার তা হয়ে যায়। আগেই উল্লেখ করেছি তখন পোকা মাকড় আক্রান্ত অংশটিকে এদের বাসস্থান হিসেবে নির্বাচন করে নেয় ও খাদ্য হিসেবে গল টিস্যু খেয়ে জীবন ধারণ করে। ফলে আক্রান্ত স্থান থেকে শুরু করে পরের অংশে উদ্ভিদের মূলরোম দিয়ে আহরিত পুষ্টি সঠিক ভাবে সরবরাহ করতে পারে না।
আমাদের দেশে আম ও জাম সহ বিভিন্ন ফলজ উদ্ভিদের পাতায় প্রচুর পরিমাণে গল সৃষ্টি হতে দেখা যায়।গাছের পরিচর্যা সঠিক থাকা স্বত্বেও আমের ফলনে বিপর্যয় নেমে আসে। তার একমাত্র কারণ হল পাতায় সৃষ্ট গলের কারণে সঠিক ভাবে সালোকসংশ্লেষণ করতে না পারায় উদ্ভিদ তার চাহিদা মত নিজের খাদ্য প্রস্তুত করতে পারেনা ফলে মুকুল উৎপাদনে Florigen হরমোনের প্রোডাকশন কমে যেয়ে মুকুল উৎপাদন কম হয় যথারীতি ফলনও কম হয় কিন্তু পরিচর্যা কারি কৃষক বেচারার মাথায় হাত।

CS of a oak leaf gall Oak leaf gall তবে oak গাছে যে সব গল সৃষ্টি হয় তাতে হোস্ট উদ্ভিদের কোন ক্ষতি সাধিত হয় না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সঠিক সালোকসংশ্লেষণ না হওয়ার কারণে গাছের পাতা পরিপক্ব হওয়ার আগেই ঝরে পড়ে। এতে যদিও গাছের তেমন ক্ষতি হয় না কিন্তু যে সকল এলাকায় oak গাছ জন্মে সেইসব এলাকার প্রাণীকুলের জন্য উৎপাদিত অক্সিজেনের ঘাটতি ঘটে।
যখন একবার গলের বৃদ্ধি শুরু হয় তখন এদের প্রতিকার করা খুবই কঠিন হয়ে যায়। তবে বাজারে প্রতিষেধক হিসেবে প্রাপ্ত কিছু ইনসেকক্টিসাইড পাওয়া যায় যা প্রয়োগ করে প্রাথমিক অবস্থায় গল দমন করা সম্ভব।

সতর্কতা:
সকল Pesticide হল বিষাক্ত। যদি কেউ Pesticide ব্যবহার করেন তবে বোতলের গায়ে লেখা নির্দেশনা মেনে চলুন। শিশু, পোষা প্রাণী ও গবাদিপশুর নাগালের বাইরে রাখুন। ব্যবহারের পর খালী বোতল যথাযথ নিয়মানুসারে সঠিক স্থানে রাখুন যেন কখনোই পুকুর, টিউবওয়েল, ডোবা ও জলাশয়ের সংস্পর্শে না আসে। অন্যথায় অনেক মূল্যবান প্রাণহানির সম্ভাবনা থেকে যাবে।

ছবিঃ গুগলের সৌজন্যে।

The post উদ্ভিদ দেহে ক্যান্সার সৃষ্টিতে লিফ গলের ভূমিকা appeared first on NSSB.

পিঁপড়া ও উদ্ভিদের মিথোজীবিতা

$
0
0

Acacia plant

কিছু ঘটনা কখনো কখনো গল্পকেও হার মানায়। কথাটি প্রকৃতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি মিলে যায়। উদ্ভিদ ও প্রাণীদের আত্মরক্ষার কৌশলগুলোর প্রতি লক্ষ্য করলে বিস্মিত না হয়ে উপায় নেই। তেমনি উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য মিথোজীবিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা কিছু কিছু প্রজাতি তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য এই প্রক্রিয়ায় পরস্পরের উপর নির্ভরশীল। এমনি এক পারস্পরিক মঙ্গলজনক সহাবস্থান করে আসছে Acacia ও Pseudomyrmex গন-ভুক্ত এক ধরনের উদ্ভিদ ও পিঁপড়া। Acacia প্রজাতির উদ্ভিদে যখন পিঁপড়া বাসা তৈরি করে তখন এইসব উদ্ভিদদেহ হতে বেশী করে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন নির্গত করে যা পিঁপড়ার খাদ্য ও বংশ বিস্তারের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। বিনিময়ে Acacia উদ্ভিদ অন্যান্য তৃণভোজী প্রাণীদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়। সুধী পাঠক রক্ষা পাওয়ার কৌশল নিয়ে লেখার মাঝামাঝি অংশে আলোচনা করবো।
Acacia প্রজাতিটি হল অনেক বড় গনের একটি সদস্য, পৃথিবীতে এদের প্রায় এক হাজার প্রজাতি আছে। এটি শিম পরিবারের উদ্ভিদ। এই সব উদ্ভিদের মুলে সাধারণত Rhizobium bacteria দ্বারা এক প্রকার নডিউল তৈরি হয়। আর এইসব ব্যাকটেরিয়া বাতাস থেকে নাইট্রোজেন সংগ্রহ করে তাকে জৈব যৌগে পরিণত করে। উক্ত উদ্ভিদ এই নাইট্রোজেন ব্যবহার করে এমাইনো এসিড ও প্রোটিন তৈরি করে। Rhizobium bacteria ‘র উপস্থিতিতে মাটিতে নাইট্রোজেনের আধিক্যের ফলে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধির মাধ্যমে Acacia গাছ সহ আশেপাশের সকল উদ্ভিদের সঠিক বৃদ্ধি ও ফুল ফল উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এখানে পিঁপড়া,Rhizobium ব্যাকটেরিয়া ও Acacia ‘র সহাবস্থানে কি চমৎকার বুঝাপড়া(!)

Acacia kataGum Arabic এর প্রধান উৎস হল Acacia উদ্ভিদ। যা হল এক প্রকার Thickener. বিভিন্ন রকমের প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন ক্যান্ডি ও আইসক্রিম তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।এই প্রজাতির উদ্ভিদে বিশেষ করে Acacia তে ভয়ানক ধারালো কাটা দেখা যায় যা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করে। ধারালো কাটা থাকা স্বত্বেও Acacia উদ্ভিদ প্রতিনিয়ত জিরাফের রসনা বিলাসে পরিণত হয়। তবে জিরাফের রসনা তৃপ্তিতে এখানে পিঁপড়া খলনায়কের ভূমিকা পালন করে। পাতা খাওয়ার সময় Acacia ‘র বন্ধু Pseudomyrmex প্রজাতির পিঁপড়া জিরাফের নাসারন্ধ্র দিয়ে ঢুকে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে জিরাফ তার রসনাকে তৃপ্ত না করেই দৌড়ে পালিয়ে যায়।

Ant

Acacia গনের উদ্ভিদ ও Pseudomyrmex গনের পিঁপড়ার পারস্পরিক বুঝাপড়ায় আরও একটি মজার ব্যাপার ঘটে।Acacia উদ্ভিদ পিঁপড়াকে চিনি ও প্রোটিন সরবরাহ করে যা পিঁপড়ার বাসায় বাচ্চা উৎপাদনের সময় খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান। অর্থাৎ পিঁপড়ার বংশবৃদ্ধিতে এই উদ্ভিদ সরাসরি বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। সাধারণত নতুন গজানো পাতার অগ্রভাগে প্রোটিন সমৃদ্ধ Beltian Bodies উৎপন্ন করে যা উদ্ভিদ দেহের জন্য কোন কাজে আসে না কিন্তু পিঁপড়ার পুষ্টি চাহিদা মিটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

Ant eting leaf
Acacia গনের উদ্ভিদে পাখি বাসা তৈরি করে যখন বাচ্চাকে খাবার হিসেবে পিঁপড়া ও বিভিন্ন প্রকার পোকা মাকড় দেয়ার সময় হয় তখন উক্ত গাছে বসবাসরত পিঁপড়া গুলো নিজেদের প্রোটেকশনের জন্য গাছের বড় বড় কাটার ভিতরে যে ফাকা থাকে ও সেখানে ঢুকে যায় ও সেখানে অবস্থিত মধু ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার (Honey and protein-rich grubs) খেয়ে জীবন ধারণ করে অন্যথায় এরা পাখির খাদ্যে পরিণত হতো। তাহলে Acacia উদ্ভিদ এই সব পিঁপড়ার খাদ্য বাসস্থান ও প্রতিরক্ষা সব কিছু দিয়ে সাহায্য করছে বিনিময়ে পিঁপড়া Acacia গাছকে অন্য প্রাণীদের হাত থেকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করছে।

Ant and acacia

ant house

Bird nest

এই সব পিঁপড়া বাসা তৈরির সময় Acacia উদ্ভিদদেহের বিশেষ অংশগুলি বেছে নিতে সামান্যতম ভুল করে না। যেমন উদ্ভিদের যে অংশে কাটার পরিমাণ বেশী সেই অংশেই এরা বাসা তৈরি করে। বাসাটি সাধারণত একটা ঢোল আকৃতির হয়ে থাকে। বাসার দেয়ালের বাহিরে প্রচুর পরিমাণে কাটার (Thorn) সরু অংশটি বের হয়ে থাকে যেন শত্রুরা সহজেই বাসায় আক্রমণ করতে না পারে। এ ছাড়াও কাটার ফাঁফা অংশ থেকে খাদ্য হিসেবে honey and protein-rich grubs সহজে যেন বাচ্চাদের সরবরাহ করতে পারে এজন্যই এদের এই কৌশল।

টীকা:

Beltian body: এটি হল কচি পত্র ডগার বিচ্ছিন্ন লোব (lobes of a leaflet) যা Acacia উদ্ভিদ ও একই গন-ভুক্ত অন্য উদ্ভিদে দেখা যায়। যাতে লিপিড,চিনি ও প্রোটিনে ভরপুর থাকে। এটি প্রায়ই লাল রঙের হয় যা পিঁপড়ার সিমবায়োটিক রিলেশানশিপে খুবই গুরুত্ববাহী।
Gum Arabic: বিভিন্ন রকম উদ্ভিদ হতে gum নির্গত হয় বিশেষ করে Acacia senegal উদ্ভিদ হতে নির্গত আঠাকে Gum Arabic বলা হয়। এই Gum Arabic ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে ট্যাবলেট ও ইমালশন তৈরিতে ব্যবহার করা হয় যেমন এক্সিপিয়েন্ট ও একটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট কে একসাথে জোড়া লাগানোর ক্ষেত্রে এই উদ্ভিদজাত পানিতে দ্রবণীয় আঠা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। একই পদ্ধতিতে চকোলেট,কোকাকোলা ও আইসক্রিম তৈরিতেও Gum Arabic ব্যবহার করা হয়।
ছবি: গুগলের সৌজন্যে।

The post পিঁপড়া ও উদ্ভিদের মিথোজীবিতা appeared first on NSSB.

পোকা মাকড়ের ভোটাধিকার

$
0
0
ছবিতে বিভিন্ন রঙের ফুল দেখানো হয়েছে। ছবিটি Kaniz Khan আপা কতৃক ধারনকৃত।

ছবিতে বিভিন্ন রঙের ফুল দেখানো হয়েছে। ছবিটি Kaniz Khan কর্তৃক  ধারনকৃত।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন বিকাল প্রায় ৫ টা কোন অবস্থাতেই সময় কাটছিল না ভাবলাম যেহেতু কাছাকাছি আছি একটু বোটানিক্যাল গার্ডেনে পায়চারি করে আসি। যথারীতি পায়ে হেটে যাত্রা শুরু করলাম ন্যাশনাল হার্বেরিয়ামের সামনে যেতেই কয়েকজন পথ শিশুর খেলা দেখে থমকে দাঁড়ালাম ওরা মার্বেল খেলছে সাথে পাশের দুটি বালক “খোকার প্রশ্ন” কবিতাটি আবৃত্তি করছে। মনোযোগ দিয়ে কবিতাটির আবৃত্তি শুনে আমি আপ্লুত কারণ এইসব পথ শিশুদের যেমনি নেই কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ঠিক তেমনি নেই পুষ্টিকর খাদ্য,বস্ত্র ও বাসস্থান তবু এদের কণ্ঠে আবৃত্তির ধরন আমায় মুগ্ধ করেছে। পুনরায় আবৃত্তি করার অনুরোধ জানিয়ে পাশের দোকান থেকে ক’টি চকোলেট ও ২লিটার মিরিন্ডা উপহার দিয়ে আমি চলে গেলাম।

আচ্ছা মাগো বল দেখি,
রাত্রি কেন কালো।
সূর্যি মামা কোথায়
থেকে,
পেলেন এমন আলো।
ফুলগুলি সব নানান
রঙের,
কেমন করে হয়।
পাতাগুলি সবুজ কেন,
ফুলের মত নয়।
চিনি কেন মিষ্টি এত,
তেঁতুল কেন টক।……

ধীর গতিতে হাঁটছি এমন সময় দেখা হল বোটানিক্যাল গার্ডেনের মালী রফিক ভাই এর সাথে সে আমাকে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলো স্যার কেমন আছেন কিন্তু তাকে বেশী পাত্তা দিতে পারলাম না কারণ কানে শুধুই কবিতার দু’টো চরণ বার বার প্রতিধ্বনিত হচ্ছিলো।

ফুলগুলি সব নানান রঙের, কেমন করে হয়।
পাতাগুলি সবুজ কেন,ফুলের মত নয়।

রুয়েলিয়া। ছবিটি ঝিটকা থেকে ধারনকৃত। ছবিটি নবীনগর থেকে ধারনকৃত। মোরগ ঝুটি, ছবিটি নবীনগর থেকে ধারনকৃত। ডবল পাপড়িযুক্ত মধুমঞ্জুরি, ছবিটি মিরপুর BIHS থেকে ধারনকৃত। এই ছবিতে মৌমাছির ভোটাধিকার প্রয়োগ দেখানো হয়েছে। ছবিটি গিলন্ড থেকে ধারনকৃত। রঙ্গন, ছবিটি গিলন্ড থেকে ধারনকৃত।

ফুল কেন বা কিভাবে রঙিন হয়? গোলাপ কেন লাল ও ভায়োলেট ব্লু হয়? আমরা ফুলের রঙে রূপে পরমানন্দ লাভ করি। কিন্তু প্রকৃতির এই রূপ রঙের পিছনে যে বৈজ্ঞানিক কারণগুলি রয়েছে তা সকলের জন্য উন্মোচন করতে চাই। এখানে একটা ব্যাপার বলে রাখা প্রয়োজন মনে করছি তা হল যে কারণে ফুল রঙিন হয় ঠিক সেই একই কারণে একজন মানুষও বাদামী বা কুঁকড়ানো চুল নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে অথবা চোখের রঙ বদলিয়ে ব্লু করেন, রঙিন পোশাক পরিধান করেন কখনো ঠোঁটে লাল লিপস্টিক পরিধান করেন।

ফুলের রঙ উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় যেমন দেখা যায় গোলাপের রঙ লাল এবং গাদার রঙ হলুদ হয়ে থাকে। সবই এক ধরনের pigment থেকে পাওয়া যায় যা নির্ধারণ করে উদ্ভিদের বংশগতিয় জিনোম। ফুলের রঙ লাল,গোলাপি,পিঙ্ক, নীল বা পার্পল যাই হোক না কেন এর জন্য প্রধান ভূমিকা পালনকারী পিগমেন্টের নাম হল anthocyanin যা এক প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য যাকে flavanoids বলা হয়। এই ফ্লাভোনয়েডস এর জন্যই এত রঙ এতো ভালোলাগা এতো ভালোবাসা এতো বাহারি ফুলের আগমন ঘটে।

উদ্ভিদে আরও কিছু পিগমেন্ট আছে যেমন carotenoids যাদেরকে টমাটো ও গাজরে পাওয়া যায় যা প্লাস্টিডে হলুদ,লাল ও কমলা রঙ তৈরি করে। ক্লোরোফিল খুবই পরিচিত এক প্রকার পিগমেন্ট যা সব ধরনের বৃক্ষ পত্রাবলীর সবুজ রঙ সরবরাহ করে। এই সব বৈজ্ঞানিক পরিভাষা গুলি মানুষের সাথেও সম্পর্কিত। উদ্ভিদ তাদের জিনে এইসব উল্লেখিত পিগমেন্টগুলি বহন করে যা জন্মের আগেই নির্ধারিত হয় ফুল কি ধরনের রঙ নিয়ে জন্ম লাভ করবে। যেমন একজন মানব শিশু কি রঙের চুল,চোখ ও বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্ম নিবে তাও জন্মের আগেই নির্ধারিত হয়ে যায় তার পূর্ব পুরুষের জিনে বহন কৃত জিনোমের বৈশিষ্ট্যাবলীর উপর। এখানে উদ্ভিদ বা প্রাণী যাই হোক না কেন জেনিটিক কোড বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

গোলাপ। ছবিটি কানাডা থেকে Tmir Mustafa ভাই কতৃক ধারনকৃত। এলমেন্ডা, ছবিটি আমার ছাদ বাগান থেকে ধারনকৃত প্রভাতজ্যোতি, ছবিটি আমার ছাদ বাগান থেকে ধারনকৃত। টেকোমা, ছবিটি নবীনগর থেকে ধারনকৃত। চালতা, ছবিতে মৌমাছির ভোটাধিকার প্রয়োগ দেখানো হয়েছে। ছবিটি মিরপুর গ্রামীন ব্যাংকের সামনে থেকে ধারনকৃত। পান্ডা ফেস জিঞ্জার

পাখি,বিভিন্ন রকমের পোকা মাকড় ও মৌমাছি এই সকল উজ্জ্বল রঙের মোহে আকৃষ্ট হয় এটা সকলেরই জানা তবু এই প্রবন্ধের বিষয় হিসেবে কিছুটা তুলে ধরতেই হচ্ছে। মানুষ পরস্পরকে আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন রকমের সাজগোজ করে যেমন কোট,টাই পরিধান করে লিপস্টিক ব্যবহার করে ঠোঁটের রঙ পরিবর্তন করে,বিভিন্ন রকমের সুগন্ধি ব্যবহার করে,চুলের স্টাইলে পরিবর্তন আনে যেন দেখা মাত্রই প্রিয়জন দের পরস্পরকে পছন্দ হয় ঠিক তেমনি উদ্ভিদ তার জিনোমে সংরক্ষিত বৈশিষ্ট্যাবলী দিয়ে চাকচিক্যময় বাহারি ফুল ফুটিয়ে ও বিভিন্ন রকম সুগন্ধ ছড়িয়ে বিভিন্ন প্রকার পাখি, পোকামাকড় ও মৌমাছিদের আকৃষ্ট করে যেন পলিনেটর হিসেবে এরা এসে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটায়।

পরাগায়নের পর আমরা যা পাই ফুল ফল খাদ্য শস্য সবকিছুই আমাদের জীবনধারণের জন্য প্রধান নিয়ামক। ফুল ছাড়া কি আমাদের একদিনও চলে? বিয়ে, জন্মদিন, প্রথম দেখা, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, মৃত্যু কোথায় নেই ফুলের ব্যবহার! আর এই সবকিছুই হয় পোকামাকড়ের ভোটাধিকার প্রয়োগের ফলে। পোকামাকড় ভোটাধিকার প্রয়োগ না করলে পলিনেশন থমকে যাবে, থমকে যাবে আমাদের সভ্যতা। এখন মধুমাস চলছে বিভিন্ন রকমের মৌসুমি ফলের মিষ্টি সুগন্ধ বাতাস ভারি করে তুলছে, এমন সময় কাউকেই খোঁজে পাওয়া যাবে না যে এইসব ফলে রসনা তৃপ্ত করেনি। কিন্তু আমরা কি একবারও ভেবেছি এ সবকিছুই পোকামাকড়ের ভোটাধিকার প্রয়োগের ফসল। পরিশেষে বলা যেতে পারে আমরা বেঁচে আছি পাখি, পোকামাকড় ও মৌমাছি এদের দয়ায়।

 

The post পোকা মাকড়ের ভোটাধিকার appeared first on NSSB.

গৃহসজ্জায় উদ্ভিদের ব্যবহার ও উপকারিকা

$
0
0

সারাদিন পরিশ্রম করার পর যে ঘরে ঢুকে ক্লান্তি দূর হয়ে যায় সেটি হল আমাদের বেডরুম। আমরা সবাই চাই বেডরুম হোক একটা প্রশান্তির জায়গা আর এই প্রশান্তির খোঁজে আমরা বেডরুমে বিভিন্ন রকমের সৌন্দর্য বর্ধনকারী উদ্ভিদ,
দামি আসবাবপত্র, পেইন্ট, গৃহসজ্জার সামগ্রী, পরিষ্কার সরঞ্জামাদি দিয়ে সাজিয়ে রাখি। কিন্তু এইসব সরঞ্জামাদি থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ নির্গত করতে পারে তা হয়ত অনেকেরই জানা নেই। কারণ অধিকাংশ বেডরুমে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা খুবই নাজুক। তাই প্রতিটি বেডরুমে, লিভিং রুমে, রিডিং রুমে বাতাস বিশোধকরন ব্যবস্থা থাকা অতীব জরুরী।
উদ্ভিদ প্রকৃতি থেকে অনেক ক্ষতিকর উপাদান শোষণ করে নেয় ও বিনিময়ে অক্সিজেন উৎপাদন করে ও কার্যকরী ভাবে বায়ু বিশুদ্ধিকরণ হিসেবে কাজ করে। এই ব্যাপার টা আপনাদের সকলেরই জানা এই নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করলে হয়ত কেউ কেউ ভ্রু কুঁচকিয়ে “বেটা একটা পণ্ডিত” বলে গালি দিতে ভুল করবেন না।
আমরা বেডরুমে বিভিন্ন রকমের শোভাবর্ধক উদ্ভিদ রাখি কিন্তু এই সব উদ্ভিদগুলো আমাদের জন্য কতটুকু স্বাস্থ্যকর তা হয়ত অনেকেই জানি না। কিছু উদ্ভিদ বিশেষ করে রাতের বেলা অক্সিজেনের পরিবর্তে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করে। তাই যে সকল বেডরুমে বাতাস চলাচলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই সেখানে গাছ না রাখাই ভালো। তবে কিছু উদ্ভিদ আছে যাদের বেডরুমে রাখলে শ্বাস প্রশ্বাসের কোন রকম বিঘ্ন না ঘটিয়ে সাহায্য করবে।

Aloe vera

Aloe vera

Aloe (Aloe vera) এটি একটি সাকুলেন্ট প্লান্ট যা পুড়া ক্ষত ও সুপারফিসিয়াল ক্ষত সারাতে দ্রুত কাজ করে। কিন্তু এই উদ্ভিদ নিজেই Air Purifying হিসেবেও কাজ করে। Aloe vera উদ্ভিদ বাতাস থেকে ফরমালডিহাইড ও বেনজিন নামক রাসায়নিক পদার্থকে রিমোভ করে দেয়। তার মানে আপনার বেডরুমে ফরমালডিহাইড ও বেনজিন আছে এমনটি মনে করার কোন কারণ নেই।তবে মেঝেতে রক্ষিত কার্পেট,গৃহ সরঞ্জামাদি ও দেয়ালে রক্ষিত পেইন্টে ব্যবহার
করা আঠা থেকে নির্গত রাসায়নিক পদার্থকে খুবই কার্যকরী ভাবে নিষ্ক্রিয় করতে Aloe vera ‘র জুড়ি মেলা ভার।

Spider Plant (Chlorophtum comosum) এই জাতীয় উদ্ভিদ গুলি বাতাসের ফরমালডিহাইড ও বেনজিন কে পরিশোধিত করে। এছাড়া বাতাসে অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড কেও রিমোভ করতে সাহায্য করে। এই সকল উদ্ভিদ অল্প আলোতে ও সামান্য পরিমাণ পানিতে স্বাচ্ছন্দ্যে বেড়ে উঠে।

Snake plant

Snake plant

Snake Plant (Sansevieria trifasciata) এটি লম্বা ও licker-like পত্রের জন্য একে সাধারণত “mother-in-law’s tongue,” বলা হয়। এই উদ্ভিদ বেডরুম বা লিভিং রুমের ফরমালডিহাইড কে নিষ্ক্রিয় করার একটি উৎকৃষ্ট সমাধান। এছাড়া ট্রাইক্লোরোইথাইলিন(পরিষ্কার করার সরঞ্জামে থাকে) ও জাইলিন(যা বিভিন্ন রকমের পেইন্টে থাকে) কে নিষ্ক্রিয় করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এটি একটি পেরিনিয়াল উদ্ভিদ ও এর পরিচর্যা খুবই সহজ কারণ অল্প আলোতে ও শুষ্ক পরিবেশ এদের খুবই পছন্দ।

Golden pothos

Golden pothos

Golden Pothos (Epipremnum aureum) যাকে আমরা মানি প্লান্ট বলি। অনেকের বিশ্বাস এই লতানো উদ্ভিদ ঘরের কোনে সাজিয়ে রাখলে ধনে সম্পদে সংসারের আয় উন্নতি বৃদ্ধি পায়। এই লতা ৬৬ ফিট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে,একে ফরমালডিহাইড ও কার্বন ডাই অক্সাইড পরিশোধনের ছাকুনি বলা হয়।

Dracaena

Dracaena

Dracaena (Dracaena) এর প্রায় ৪০ টি প্রজাতি আছে যাদেরকে সকলেই houseplant হিসেবেই জানেন। গুল্মজাতীয় এই উদ্ভিদের সব কটি প্রজাতিই ট্রাইক্লোরো ইথিলিন ও ফরমালডিহাইড কে নিষ্ক্রিয় করতে পারে। এই উদ্ভিদ অল্প আলো পছন্দ করে তাই বেডরুমে রাখতে খুবই সুবিধাজনক। তবে বেডরুমে রাখতে হলে পোষা প্রাণী যেন এই উদ্ভিদের সংস্পর্শ না পায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে কেননা Dracaena পোষা বিড়াল ও কুকুরের জন্য এক প্রকার টক্সিক নির্গত করে।

Weeping Fig

Weeping Fig

Weeping Fig (Ficus benjamina) এই উদ্ভিদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করলে অনেক দিন বেঁচে থাকে।এরা ঘরের ভিতরে উৎপাদিত বিভিন্ন রকমের রাসায়নিক পদার্থ কে নিষ্ক্রিয় করে বসবাস যোগ্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
English Ivy (Hedra helix) ঘরের দেয়াল বাগানের কোনে শোভাবর্ধন কারী উদ্ভিদ হিসেবে যুগ যুগ ধরে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। তাই উদ্ভিদ প্রেমীদের কাছে এর কদর অনেক উঁচুতম স্থানে রক্ষিত। এই উদ্ভিদ বাতাস হতে fecal matter ও ফরমালডিহাইড রিমুভ করতে সাহায্য করে।

Bamboo palm

Bamboo palm

Bamboo Palm (Chamaedorea sefritzii) হল pet-friendly বেডরুম প্লান্ট যা বাতাসের ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থকে ফিল্টার করে বেডরুমকে স্নিগ্ধ ও সজীব রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

Peace Lily

Peace Lily

Peace Lily (Spathiphyllum) মাদক সেবীদের জন্য বাতাসের ক্ষতিকারক পদার্থ রিমুভ করে খুবই উপকারী ভূমিকা পালন করে এই উদ্ভিদ। স্বল্প আলোতে ও সামান্য পানিতেই এরা বেড়ে উঠে বলে রক্ষণাবেক্ষণ তেমন কষ্টসাধ্য নয়।
বেডরুম,লিভিং রুম, রিডিং রুম সাজাতে গাছ নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ,কেননা ভুল উদ্ভিদ নির্বাচনে আপনি ও আপনার পরিবারের সমূহ স্বাস্থ্য ঝুঁকি আসতে পারে। বিশেষ করে বাড়িতে নবজাতক ও বৃদ্ধ থাকলে ইনডোর প্লান্ট নির্বাচনে যথাযথ গুরুত্ব দেয়া বাঞ্ছনীয়। যদি আপনি না বুঝেন তাহলে নবজাতক থাকাকালীন সময়ে সব ধরনের গাছ বেডরুম থেকে বের করে দিন। অথবা স্পেশালিস্টের সাহায্য নিন।

ছবিঃ গুগলের সৌজন্যে।

The post গৃহসজ্জায় উদ্ভিদের ব্যবহার ও উপকারিকা appeared first on NSSB.

ইপিফাইটিক ফার্ন

$
0
0
ইপিফাইটিক ফার্ণ(ড্রাইমোগ্লোসাম পিলোসেলোডিস)যেখানে ওভাল আকৃতির বন্ধ্যা পত্রবৎ অংশ

ইপিফাইটিক ফার্ণ(ড্রাইমোগ্লোসাম পিলোসেলোডিস)যেখানে ওভাল আকৃতির বন্ধ্যা পত্রবৎ অংশ

জলে স্থলে বাতাসে পানিতে সমুদ্রের তলদেশে কোথায় নেই উদ্ভিদ সর্বত্র এরা বিরাজমান। কিছু উদ্ভিদ অন্য উদ্ভিদের উপর সরাসরি বা আংশিক ভাবে নির্ভরশীল। আবার কখনো হোস্ট উদ্ভিদকে একেবারেই মৃত্যুর কোলে ঠেলে দেয় তাও বড় বড় বৃক্ষ গুলি (হোস্ট উদ্ভিদ) এইসব পরজীবী ও পরাশ্রয়ী দের বুকে ঠাই দিতে কখনোই কৃপণতা করে না। আবার কিছু উদ্ভিদ আছে কতক খালি চোখে দেখা যায় আর কতক লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যায় বিশেষ ব্যবস্থা ছাড়া এদের দেখা যায় না।
Polypodiaceae পরিবারের Drymoglossum piloselloides (ড্রাইমোগ্লোসাম পিলোসেলোডিস) এমনি এক ইপিফাইটিক উদ্ভিদ যার আবাসস্থল হল অন্য বৃক্ষের কাণ্ড ও শাখাপ্রশাখা। লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে বাড়ি ভাড়া পরিশোধ না করেই এরা অন্যের বাড়িতে বসবাস করে। তবে পরজীবীর তুলনায় এদের সৌজন্য বোধ একটু বেশি কেননা এরা হোস্ট উদ্ভিদকে কখনোই খাবারের জন্য বিরক্ত করেনা। এরা যদিও কখনোই বাড়ি ভাড়া পরিশোধ করে না কিন্তু আবাসস্থল হিসেবে কখনোই মাটিতে বসবাস করতে একেবারেই পছন্দ করে না। এরা বড় বড় বৃক্ষের মগডালে বসে পথচারীকে সৌন্দর্য বিলিয়ে দিতে একটুও কার্পণ্য করে না।
এতক্ষণ যার বর্ণনা করছিলাম এটি এক প্রকার রসালো ১ সেমি ব্যাসের চকচকে সবুজ বৃন্ত বিহীন Succulant পত্রযুক্ত ফার্ন সত্যি মনোমুগ্ধকর এক উদ্ভিদ দেখলেই যে কেউ এর প্রেমে পড়ে যাবেন খুব সহজেই। এইসব লতানো ফার্ন ও এর পত্র বিন্যাসে যে কেউ মুগ্ধ হবেন যাকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় প্রাপ্ত ও সহজলভ্য epiphytic fern বলা হয়। কখনো এদের পত্র ওভাল আকারের হয় যা আসলে বন্ধ্যা পত্রবৎ অঙ্গ। এদের আশে পাশে ৩-১৫ সেমি লম্বা ও চিকন স্পোর বহনকারী বৃন্ত সহ fertile leaves (উর্বর পত্র) দেখা যায়। এদের চিকন ও লতানো কাণ্ডের মত অংশে star-shaped hair থাকে যা দিয়ে আদ্র পরিবেশ থেকে পানি সঞ্চয় করে রাখে। কি বিচিত্র একই অঙ্গে কত রূপ (!) যখন একটি বৃক্ষের সমস্ত কাণ্ডে এরা বাসা বাধে দেখলে মনে হয় যেন বৃক্ষগুলি টেরাকোটেড কারুকাজ খচিত সবুজ রঙের বসন সারা গায়ে জড়িয়ে রেখেছে।

প্রায় পনের সেমি লম্বা ও চিকন স্পোর বহনকারী বৃন্ত সহ fertile leaves(উর্বর পত্র)

প্রায় পনের সেমি লম্বা ও চিকন স্পোর বহনকারী বৃন্ত সহ fertile leaves(উর্বর পত্র)

এই ফার্ন প্রচলিত নিয়মে সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে নিজেদের খাদ্য নিজেরা প্রস্তুত করে তবে প্রতিকুল পরিবেশে এরা অন্য পন্থা অবলম্বন করে। বাড়ি ভাড়া না দিলে কি হবে (!) এরা একটু বনেদি স্বভাবের কেননা আমরা জানি সালোক সংশ্লেষণকারী সকল উদ্ভিদ দিনের বেলা পত্র রন্ধ্র খোলা রাখে ও রাতে পত্র রন্ধ্র বন্ধ রাখে কিন্তু Drymoglossum piloselloides ফার্ন প্রতিকুল পরিবেশে প্রচলিত নিয়মের ঠিক উল্টোটা ঘটায় অর্থাৎ এরা CAM সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য প্রস্তুত করে। ইহা একটি Carbon fixation pathway যাহা শুষ্ক পরিবেশে (মরু উদ্ভিদ) কিছু উদ্ভিদের অভিযোজনের জন্য সরাসরি জড়িত।

প্রায় পনের সেমি লম্বা ও চিকন স্পোর বহনকারী বৃন্ত সহ fertile leaves(উর্বর পত্র)

প্রায় পনের সেমি লম্বা ও চিকন স্পোর বহনকারী বৃন্ত সহ fertile leaves(উর্বর পত্র)

অনেক দিন বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকার কারণে যখন পরিবেশ শুষ্ক হয়ে যায় তখন এই ফার্ন গুলির Evapotranspiration কমানোর জন্য পাতায় অবস্থিত স্টোম্যাটা দিনের বেলায় বন্ধ রাখে ও Co2 সংগ্রহের জন্য রাতের বেলা স্টোম্যাটা খোলা রাখে। সংগৃহীত কার্বন ডাই অক্সাইড 4-Carbon acid malate রূপে পত্রের অভ্যন্তরে Vacuoles এর মধ্যে জমা হয় ও দিনের বেলা এই malate Chloroplast এ গিয়ে সেখানে রূপান্তরিত হয়ে Co2 হয় যা সালোকসংশ্লেষণে ব্যবহৃত হয়। পূর্বে সংগৃহীত (pre collected) কার্বন ডাই অক্সাইড RuBisCO enzyme এ ঘনীভূত হয়ে সালোকসংশ্লেষণের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

উর্বর পত্রে সোরাস

উর্বর পত্রে সোরাস

এই প্রক্রিয়াটি প্রথম আবিষ্কার করেন সুইস কেমিস্ট ও উদ্ভিদ শারীরতত্বের ছাত্র Nicolas Theodore de Saussure(1767-1845)।
এই পদ্ধতিতেই প্রতিকুল পরিবেশে ড্রাইমোগ্লোসাম পিলোসেলোডিস ফার্ন সালোকসংশ্লেষণ করে ও নিজেদের খাদ্য প্রস্তুত করে।

 

টীকা:

ইপিফাইটিক: যে সকল উদ্ভিদ বড় বড় বৃক্ষের কাণ্ডে বা শাখা প্রশাখায় জন্মে হোস্টের কোন প্রকার ক্ষতি সাধন না করে প্রকৃতি(বাতাস ও বৃষ্টি)থেকে পুষ্টি আহরণ করে বেঁচে থাকে এদেরকে ইপিফাইট বলা হয়।
স্টোম্যাটা: পাতার (এবং কচি কাণ্ডের) ঊর্ধ্ব ও নিম্নতলের বহিঃত্বকে (এপিডার্মিসে) অবস্থিত দুটি রক্ষীকোষ দিয়ে পরিবেষ্টিত সূক্ষ্ম রন্ধ্রকে পত্র রন্ধ্র বা স্টোম্যাটা ( stomata, একবচনে stoma) বলে।
CAM: Crassulacean acid metabolism.
Carbon Fixation: জীব কর্তৃক অজৈব কার্বন(Co2)কে জৈব যৌগে রূপান্তর করার প্রক্রিয়াকে Carbon fixation বলা হয়।
Succulant: এই শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ভাষা থেকে, Sucus মানে হল জুস। যে সব উদ্ভিদের পাতা মোটা ও রসালো।
Evaporation+Transpiration= Evapotranspiration.
Evaporation: (বাষ্পীভবন)মাটি থেকে বা প্লান্ট ক্যানপি থেকে পানি বাষ্পীভূত হয়ে বাতাসে চলে যাওয়া।
Transpiration: (বাস্পাকারে নির্গমন) গাছের মধ্যে পানি চলাচল ও বাস্পাকারে স্টোমাটা দিয়ে বের হয়ে পানির অপচয়।
Vacuole: উদ্ভিদ কোষে বায়ু বা রস পূর্ণ গহ্বর।
RuBisCO: রাইবোলোস-১,৫-বাইফসফেট কার্বোক্সিলেস/অক্সিজেনেস এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ইহা এক ধরনের এনজাইম যাহা কার্বন ফিক্সেশানের প্রথম ধাপে সরাসরি জড়িত থাকে।

★ যেহেতু সময় স্বল্পতার জন্য ফিল্ড ওয়ার্ক করা সম্ভব হয়নি তাই প্রবন্ধের সবগুলো ছবি গুগলের সৌজন্যে ব্যবহার করা হয়েছে।

The post ইপিফাইটিক ফার্ন appeared first on NSSB.

হিমলকুচি

$
0
0
Blue tiger _mohsin

Blue Tiger || Photo: Mohosin Khan Towhid

লেখা: Sakib Chowdhury Abir

হিমলকুচি (Blue Tiger) নিমফ্যালিডি (Nymphalidae) পরিবারের সদস্য এবং ডানায়িনি উপগোত্রের অন্তর্গত এক প্রজাতির মাঝারি আকারের প্রজাপতি । এটি নীল ডোরা বা নীল বাঘ নামেও পরিচিত । হিমলকুচির বৈজ্ঞানিক নাম Tirumala limniace । এরা যূথচর পরিযায়ী আচরণ করে থাকে ।

এই প্রজাপতির ডানা ও গাত্রবর্ণের রঙ কালো, যেখানে নীলাভ সাদা বিভিন্ন আকৃতির দাগ থাকে । পুরুষ এবং স্ত্রী উভয় প্রকারের প্রজাপতির ডানার দৈর্ঘ্য ৯০-১০০ মিলিমিটার ।

সাধারণত এই জাতীয় প্রজাপতিটি মরু অঞ্চল ও হিমালয়ের অত্যধিক উচ্চতা ছাড়া প্রায় সর্বত্র দেখা যায়, বিশেষত সমভূমিতে । হিমলকুচিরা সচরাচর হালকা জঙ্গল ও অনুচ্চ ঝোপঝাড় ছাওয়া পরিবেশ পছন্দ করে । এরা খাবারের সন্ধানে সমভূমি ও পাহাড়ের ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায় ।

এরা সাধারণত অলস ও ধীর ভঙ্গিতে উড়ে থাকে, কিন্তু শত্রু দ্বারা আক্রমণের শিকার হলে এবং পরিযায়নের সময় দ্রুত এবং শক্তিশালী ভঙ্গিতেও উড়তে পারে ।

Blue tiger_02 Blue tiger_01 Blue tiger_03

হিমলকুচির ডিম চকচকে রূপালি সাদা বর্নের আবার কখনও কখনও হলদেটে বর্নের হয় । দেখতে গম্বুজাকৃতি এবং অল্প লম্বাটে, গায়ে ওপর-নীচে শির টানা ।

শূককীট গুলি লম্বাটে আকারের এবং এদের গায়ে পর পর নীলচে সাদা, কালো ও সবজেটে হলুদ রঙের বেড় দেখা যায় । দেহের তৃতীয় এবং দ্বাদশ খন্ডে দুই জোড়া মাংসল শুঁড় দেখা যায়, যেটি অরা ইচ্ছামত নাড়াতে পারে । এই শূককীটগুলো Heliotropium indicum(হাতিশুঁড়), Asclepius curassivica(মরিচা ফুল), Calotropis gigantean(আকন্দ) এবং Tylophora(টায়লোফোরা) গোত্রের বিভিন্ন উদ্ভিদের পাতার রসালো অংশ আহার করে থাকে ।

মূককীট এর রঙ উজ্জ্বল সবুজ হয় এবং গায়ে সোনালি বিন্দু বিন্দু থাকে । দেহখন্ডের মাঝামাঝি একটা সোনালি বিন্দুর রেখা দেখা যায় ।

বাংলাদেশে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ক্যাম্পাস, নটর ডেম কলেজের ক্যাম্পাস, সীতাকুণ্ড, কাপ্তাই, রাঙামাটি, মধুপুর ইত্যাদি জায়গায় সচরাচর এদের দেখা মিলে । বাংলাদেশের বাইরে পাকিস্তান, পশ্চিমবঙ্গ সহ পুরো ভারত, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, চীন, শ্রীলংকা, নেপাল, হংকং এবং ভিয়েতনামে এই প্রজাতির উপস্থিতি রয়েছে ।

তথ্যসূত্রঃ
(১)উইকিপিডিয়া
(২)Butterflies of Bangladesh by Shafique Haider Chowdhury & Monwar Hossain

The post হিমলকুচি appeared first on NSSB.


পলিপ্লয়েড উদ্ভিদ জবা

$
0
0
রক্ত জবা Hibiscus rosa-sinensis L.

রক্ত জবা Hibiscus rosa-sinensis L.

বিভিন্ন স্থানের আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে উদ্ভিদের প্রকৃতি ও এদের বেড়ে উঠা। যেমন সমতল অঞ্চলে রোদ-বৃষ্টি প্রয়োজন মত পায় বলে উদ্ভিদগুলোর গড়ন হয় মাঝারি। পাতাগুলোও পরিমিত প্রশস্ত। কিন্তু মরুভূমির উদ্ভিদের ক্ষেত্রে পাতাই থাকে না, পাতাগুলো কাঁটায় পরিণত হয়ে যায়। কাণ্ড- হয়ে যায় পাতার মতো সবুজ, রসালো যেখানে জীবন রক্ষাকারী পানি জমিয়ে রাখে,কারণ মরুভূমিতে যখন তখন বৃষ্টি আসে না তাই খাদ্য তৈরির প্রয়োজনীয় পানি কাণ্ড-থেকেই সংগ্রহ করে। প্রশস্ত পাতা থাকলে সমূহ বিপদ, প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় সব পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যাবে আকাশে, তাই পাতাগুলোর এই হাল। এক কথায় চাতুর্যের আশ্রয় নিয়ে এরা টিকে থাকে ও প্রতিকূল প্রতিবেশ পরিবেশে অভিযোজিত হয়। আবার কিছু উদ্ভিদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সুযোগে বিজ্ঞানীরা এদের ক্রস করে নতুন হাইব্রিড জাত উৎপন্ন করে যেন প্রতিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এই পদ্ধতিতে জবাকে হাইব্রিড জাতে রূপান্তর করে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন রকম প্রতিবেশে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

আমরা রঙিন এক পৃথিবীতে বসবাস করি। তাকিয়ে দেখুন নীল আকাশ, সবুজ প্রান্তর, সাদা মেঘ, লাল গোলাপ,লাল জবা, সোনালী রোদ্দুর, নীল অপরাজিতা, কালো কোকিল সবই আপনাকে আকর্ষণের চেষ্টা করছে। ভেবে দেখেছেন কি, সবুজ বৃন্তে লাল গোলাপ ও টুকটুকে লাল রক্ত জবা অথবা নীল আকাশের নীচে হলুদ-কমলা সূর্যমুখী কেন বেশী ভালো লাগে? এই প্রশ্নের উত্তর হয়ত আপনি খোঁজ করেছেন কিন্তু আমি এসবের কোন কুল কিনারা করতে পারিনি। এইসব ফুলের রঙে আমাদের মন, মেজাজ,আবেগ এবং অনুভূতিতে আসলেই কি নাটকীয় কোন পরিবর্তন আনতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজে যেটুকু পেয়েছি তা হল যদি ফুলের রঙে আমাদের মনে নাটকীয় কোন পরিবর্তন না আনবে তাহলে কেন আমরা বিভিন্ন রকমের রঙিন ফুল দেখে আপ্লুত হই, কেন প্রাকৃতিক ভাবে আমাদের শরীরে ডোপামিনের সিক্রেশন বৃদ্ধি পায় ও ভালোলাগার ভালোবাসার মানুষকে উপহার দেই! জবা হল সেইরকম টুকটুকে লাল রঙের একটি ফুল যার রূপ মাধুর্য কোন দিক থেকেই অন্য ফুলের চেয়ে কম নয়। জবার বংশগতি নিয়ে আলোচনার পূর্বে এর প্রচলিত কয়টি জাতের পরিচয় তুলে ধরছি।

জবা(জপা) Hibiscus rosa-sinensis L. জবা একটি গুল্ম জাতিয় উদ্ভিদ। সাধারণত এই প্রকৃতির জবা গাছে প্রচুর পাতা থাকে। পত্র সরল,একান্তর,বোঁটাযুক্ত,ডিম্বাকার,কিনারা করাতের মত খাঁজ কাটা,অগ্রভাগ সরু, পিচ্ছিল পদার্থ যুক্ত। এদের পুষ্প একক বৃহৎ, উভলিঙ্গ। বৃতির নিচে উপবৃতি বিদ্যমান। বৃত্যংশ ৫টি মুক্ত ও সবুজ। দলমন্ডল ৫ পাপড়ি বিশিষ্ট। বহু পুংকেশর অবস্থিত। পুংদন্ড মিলিতভাবে একটি নলের সৃষ্টি করে। পরাগধানী মুক্ত ও বৃক্কাকার,স্ত্রী কেশর ৫টি,গর্ভদন্ডটি পুং নলের ভিতরে অবস্থিত। এদের সাধারণত ফল হয় না। টকটকে লাল পাপড়ি বিশিষ্ট জবাকেই রক্ত জবা বলা হয়। এই জাতিয় জবার ব্যবহার বেশী।

জবার বহুবিধ ব্যবহারের মধ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূজাতে একে ব্যবহার করে থাকেন, তবে পুরুষ বা মূর্তি পূজায় লাল ফুল ব্যবহার হয় না। নারী পূজায় লাল জবার ব্যবহার প্রচলিত। জবা ফুল স্নিগ্ধ,শীতল ও পিচ্ছিল। পাপড়ি বেটে পানিতে দিয়ে শীতল পানীয় হিসেবে পান করা যায়। ফুল মূত্রবর্ধক ও প্রসব কালীন সময়ের প্রদাহ নিরাময়ে কার্যকরী।তিলের তেলের সাথে পাপড়ির রস জ্বাল দিয়ে মাথায় ব্যবহার করলে চুল কালো ও ঘন হয়। এ পদ্ধতিতেই জবা কুসুম তেল তৈরি করা হয়। খুব বেশী রক্তস্রাব হলে ঘি এর সাথে পাপড়ি বাটা খেলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া অনিয়মিত ও অধিক রক্তস্রাবে জবা ফুল খুবই কার্যকরী, আধুনিক গবেষণায়ও তা প্রমাণিত। জবা পাতা স্নিগ্ধ কারক ও অল্প বিরেচক হিসেবে কাজ করে।

আমাদের দেশে সহজলভ্য কিছু জবার প্রজাতি আছে এদের একেকটি একেক রঙের ও ঢং এর যা আমাদের বাগানকে পরিপাটি করে সাজিয়ে রাখে। তরু প্রেমীরা এদেরকে বাগানে, বাড়ির আঙিনায় ও ছাদ বাগানে এমনকি ব্যালকনির টবেও স্থান দিতে কখনোই ভুল করেন না।

ঝুমকো জবা Hibiscus schizopetalus(Mast.)Hook.f.

ঝুমকো জবা Hibiscus schizopetalus(Mast.)Hook.f.

ঝুমকো জবাঃ Hibiscus schizopetalus(Mast.)Hook.f.

ইংরেজি নাম Coral Hibiscus, Split-petal Hibiscus. ঝুমকো জবা গুল্ম জাতীয় ও শোভা বর্ধনকারী উদ্ভিদ। জবার তুলনায় এর বিস্তৃতি কম, সব বাগানে এদের দেখা মিলে না তবে এই জবা বাতাসে সরল দোলকের মত যখন দুলতে থাকে তখন মনে হয় তার রূপ বিলিয়ে দেয়ার জন্য এই নড়াচড়ার মাধ্যমে সকলকে আহবান জানায়।

সিরিয়াক জবা Hibiscus syriacus L

সিরিয়াক জবা Hibiscus syriacus L

সিরিয়াক জবাঃ Hibiscus syriacus L

ইংরেজি নাম Violet Hibiscus এরা গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ যা ২-৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। উদ্ভিদের তরুণ অংশ রোমশ হয়ে থাকে।

লঙ্কা জবা বা মরিচ জবা Malvaviscus penduliflora Mocino & Sese ex DC

লঙ্কা জবা বা মরিচ জবা Malvaviscus penduliflora Mocino & Sese ex DC

লঙ্কা জবা বা মরিচ জবাঃ Malvaviscus penduliflora Mocino & Sese ex DC

ইংরেজি নাম Nodding Malvaviscus. এই জাতিয় জবা আমাদের দেশের বাগানে শোভাবর্ধক হিসেবে রোপণ করা হয়। এদের ফুল দেখতে লাল লঙ্কা মরিচের মত তাই একে লঙ্কা জবা নামকরণ করা হয়।

বৃক্ষ জবা Malvaviscus arboreus Cav

বৃক্ষ জবা Malvaviscus arboreus Cav

বৃক্ষ জবাঃ Malvaviscus arboreus Cav এর সমনাম Hibiscus malvaviscus L

ইংরেজি নাম Tree malvaviscus. এরা সাধারণত ছোট বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ এদের পাতা সরল বোঁটাযুক্ত ও একান্তর। এই জাতিয় জবা সচরাচর দেখা যায় না।

এই ছবিতে ক্রোমোজমের Haploid(single), Diploid(double),Triploid(triple) ও Tetraploid(quadruple) সেট দেখানো হয়েছে। Triploid ও Tetraploid ক্রোমোজোমই হলো পলিপ্লয়েডের উদাহরন।

এই ছবিতে ক্রোমোজমের Haploid(single), Diploid(double),Triploid(triple) ও Tetraploid(quadruple) সেট দেখানো হয়েছে। Triploid ও Tetraploid ক্রোমোজোমই হলো পলিপ্লয়েডের উদাহরন।

জবা গাছ হল জেনেটিক্যালি Polyploid,যাদের দুই সেটের বেশি কমপ্লিট ক্রোমোজম আছে,যা অন্যান্য উদ্ভিদ প্রজাতির সঙ্গে অসদৃশ। Polyploid এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হল সন্তানের বা বংশধরের Phenotype পিতামাতা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হতে পারে। এই চরিত্রগত কারণেই যারা উদ্ভিদের ক্রস ও এদের বৈচিত্র্যের সাথে recross করেন তাদের কাছে জবা খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পলিপ্লয়েড বৈশিষ্ট্যের জন্যই বিজ্ঞানীরা জবার নতুন নতুন জাত তৈরি করতে পেরেছে এবং এই সব জাতের জবা প্রতিকুল প্রতিবেশে যেমন প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও গরমে নিজেদের প্রতিযোগিতায় অধিষ্ঠিত করতেও সক্ষম হয়েছে।

টীকা:

কোন উদ্ভিদ বা প্রাণীর সগোত্রের মধ্যে মিলনের ফলে যে সন্তান উৎপন্ন হবে তাদের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য বাবা মায়ের অনুরূপ হবে। যেমন উচ্চতা, গায়ের রঙ, চোখের রঙ, চুলের রঙ,কণ্ঠস্বর, আচার আচরণ সবমিলিয়ে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকে বুঝানো হয়। উদ্ভিদের ক্ষেত্রেও তাই। যদি কোন উদ্ভিদ বা প্রাণী পলিপ্লয়েড হয় তাহলে তাদের উৎপাদিত সন্তান সন্ততিতে বাবা মায়ের কোন বৈশিষ্ট্যাবলী প্রকাশ না পেয়ে এমন কিছু বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ পায় যা সেই উদ্ভিদ বা প্রাণীর বংশে কখনোই ছিল না। এই অবস্থাকেই Phenotype বলা হয়।

Polyploid যে সকল কোষ ও organism এর দুই জোড়ার অধিক homologous chromosome সেট থাকে তাদেরকে পলিপ্লয়েড বলে। তবে পলিপ্লয়েড সাধারণত উদ্ভিদ ও কিছু নিন্মশ্রেনীর প্রাণীতে পাওয়া যায়।

The post পলিপ্লয়েড উদ্ভিদ জবা appeared first on NSSB.

Red-vented Bulbul

$
0
0

red-vented-bulbul

Red-vented-Bulbul Red-vented-Bulbul

বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিভাগঃ-
Scientific Classification

রাজ্য / Kingdom: Animalia
বর্গ / Order: Passeriformes
পরিবার / Family: Pycnonotide
গন / Genus: Pycnonotus
প্রজাতি / Species: P. cafer


Red-vented Bulbul


বাংলা নামঃ
বুলবুলি
English Name: Red-vented Bulbul
Scientific Name: Pycnonotus cafer

DescriptionDistributionReport Us

A very common bird to its native region, unfortunately it is also it being considered one of the world’s worst invasive alien species in areas where it has been introduced  due to its food habit –mainly fruit eating habit and aggressive nature.

The red-vented bulbul is easily identified by its short crest on the head. The body is dark brown with a scaly pattern, head is blackish . The rump is white while the vent is red for which the bird is named. The black tail is tipped in white. Both male and female  are similar in plumage, but young birds are duller than adults.

SIZE: About 20 cm

The red-vented bulbul is vocal bird and has distinct calls for different acts such as greeting and begging, as well as two distinctive alarm calls. This species frequently calls during pair bonding and in mating.

Though It considered as invasive species for its fruit eating habit in the places where it is introduced but Red vented Bulbul also eat  insects even small reptiles( such as geckos ). The red-vented bulbul tends to swallow fruits whole and thus the seeds travel through its digestive systems completely intact, making the red-vented bulbul particularly important for dispersing plant seeds

The red-vented bulbul found in a variety of habitats, from forest to urban parks and gardens. It is most commonly found in areas like bushes, open forest,plains and cultivated lands. Red vented bulbul builds its nest, preferring the safety of the depths of bushes and tree cavities rather than open branches.

The red-vented bulbul breed year-round but breeding activity peaks between January and October.Normally lays 2-4 eggs, incubates in 14 days.

(Kawsar Mostafa)

 

A common bird of Bangladesh, Native to South Asia ,also  found in  Mayanmar,Some parts of China. Red vented Bulbul introduced in many parts of the world .Its established it presence in Middle east -UAE, Bahrain , United States, New Zealand, Argentina Many Pacific Islands like Fuji, Hawaii, Soma and the places it introduced is considered as Invasive alien species.

[ninja_forms id=6]

The post Red-vented Bulbul appeared first on NSSB.

উদ্ভিদের প্রতিরক্ষার কৌশল

$
0
0
knapweed (Centaurea maculosa)

knapweed (Centaurea maculosa)

প্রাণীদের মত উদ্ভিদ নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য বিভিন্ন রকম কৌশল ব্যবহার করে,কখনো এই কৌশল অন্য উদ্ভিদের ক্ষতির কারণ হয় আবার কখনো পারস্পরিক অসহযোগিতার মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে বা অন্য উদ্ভিদকে কোন প্রকার ক্ষতি না করে সহযোগিতার মাধ্যমে নিজেরা বেঁচে থাকে।

এলিলোপ্যাথি হল একটি বায়োলজিক্যাল ব্যাপার যা সেই সব অণুজীব যারা একের অধিক বায়োকেমিক্যাল নির্গত করে যা অন্য অণুজীবের টিকে থাকা অঙ্কুরোদগম ও জীবনচক্র সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। এই সব বায়োকেমিক্যাল গুলি এলিলোকেমিক্যাল নামে পরিচিত, এদের দ্বারা টার্গেট করা অণুজীব ও সম্প্রদায়ের উপর এদের উপকারী(positive allelopathy) ও অপকারী (negative allelopathy) প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করে।Allelopathy শব্দটি একটি গ্রীক শব্দ যার আভিধানিক অর্থ হল allelo মানে “mutual harm” ও pathy মানে “suffering”. ১৯৩৭ সালে অস্ট্রিয়ান অধ্যাপক Hans Molisch প্রথম তাঁর জার্মান ভাষায় প্রকাশিত Der Einfluss einer Pflanze auf die andere-Allelopathie(The Effect of Plants on Each Other) নামক বইতে প্রকাশ করেন।

Chromolaena odorata (Eupatorium odoratum)

Chromolaena odorata (Eupatorium odoratum)

এলিলোকেমিক্যালস গুলো হল গৌণ বিপাকের subset.এদের(allelopathic organism) বিপাকের প্রয়োজন হয়না। (অর্থাৎ growth, development and reproduction) যাদের নেতিবাচক এলিলোপেথিক (negative allelopathic) প্রভাব আছে এগুলো তৃণভোজী প্রাণীদের বিরুদ্ধে উদ্ভিদের প্রতিরক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এদের উৎপাদন কিছু জৈব ও অজৈব উৎপাদক দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয় যেমন পুষ্টি উপাদান, তাপমাত্রা ও pH. এলিলোপ্যাথি বৈশিষ্ট্য বহনকারী কিছু নির্দিষ্ট উদ্ভিদ আছে যেমন algae, bacteria,coral ও fungi, এলিলোপ্যাথিক interactions উদ্ভিদ সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছু কিছু প্রজাতির সনাক্তকরণ,এদের বিন্যাস ও আধিক্যেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এছাড়াও কিছু কিছু আক্রমণকারী উদ্ভিদ সম্পর্কে একটা ধারনা পাওয়া যায়। এই ব্যাপারে উদাহরণ হিসেবে কিছু উদ্ভিদের নাম উল্লেখ করা যায়। যেমন: knapweed (Centaurea maculosa),garlic mustard (Alliaria petiolata), Casuarina/Allocasuarina spp,andnutsedge ইত্যাদি।

Garlic mustard (Alliaria petiolata)

Garlic mustard (Alliaria petiolata)

উদ্ভিদের এইসব বৈশিষ্ট্যের জন্য পুষ্টি,পানি ও আলোর আধিক্য খুবই প্রয়োজনীয় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। যদিও এরা উপযুক্ত পরিবেশে উদ্ভিদের বেঁচে থাকার বয়স বাড়িয়ে দেয়। কোন রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া ছাড়া আশে পাশের উদ্ভিদের মধ্যে বেঁচে থাকার প্রবণতাকে resource competition হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় যাকে নেতিবাচক এলিলোপ্যাথি বলা যাবে না। অস্ট্রিয়ান অধ্যাপক Hans Molisch প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে, বায়োকেমিক্যাল interactions এর ফলে আশেপাশে বসবাস রত উদ্ভিদের পরস্পরের বৃদ্ধি রহিত হয়। যেমন আজকাল বিশ্বের অনেক দেশে কৃষি ক্ষেত্রে আগাছা ও শস্যের মধ্যে এলিলোপ্যাথি ব্যবহার করে প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে ও শস্য উৎপাদনে নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এই গবেষণার ফলে এলিলোকেমিক্যালসকে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করনে ও প্রাকৃতিক আগাছা নাশক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

Lantana camara (পুটুস)

Lantana camara (পুটুস)

১৯৯৩ সালে Sheeja নামক একজন উদ্ভিদ বিজ্ঞানী প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে Chromolaena odorata (Eupatorium odoratum) ও Lantana camara এর মধ্যে এলিলোপ্যাথিক ইন্টারেকশনের ফলে আশে পাশে জন্ম নেয়া উদ্ভিদ তৃণভোজী প্রাণীদের হাত থেকে রক্ষা পায়। কারণ তৃণভোজী প্রাণীদের উপস্থিতি টের পেলেই Lantana camara ও Chromolaena odorata বাতাসের মধ্যে এলিলোক্যামিক্যাল নিঃসরণ করে যার উপস্থিতি কোন অবস্থাতেই তৃণভোজী প্রাণীরা সহ্য করতে পারে না। যাঁরা প্রকৃতির প্রতি নজর রাখেন তাঁরা দেখবেন রাস্তার পাশে, রেললাইনের পাশে, জঙ্গলের পাশে অনাদরে অবহেলায় Lantana camara(পুটুস) ও Chromolaena odorata ফুল ফুটিয়ে তার আশে পাশে আরও কিছু অবহেলিত উদ্ভিদকে সাথে নিয়ে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে,কিন্তু কোন তৃণভোজী প্রাণী এদের কোন ক্ষতি করছেনা।এছাড়াও ইউক্যালিপটাস, ভেনেস্টার নামক কিছু উদ্ভিদ প্রজাতি একই পদ্ধতিতে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে।

আধুনিক গবেষণার ফসল হিসেবে বিজ্ঞানীরা ধানের(Oryza sativa)জিনগত পরিবর্তন করে খুবই শক্তিশালী এলিলোপ্যাথিক জাত উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের গবেষণায় Oryza sativa ‘র তুলনায় Oryza japonica তে অনেক বেশী এলিলোক্যামিকেলের সন্ধান পেয়েছেন। তাঁরা এটাকে ব্যবহার করে জাপানে ধানের অনেক উন্নত ফলন নিশ্চিত করছে। পৃথিবীর জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে কিন্তু আবাদি জমির পরিমাণ পৃথিবীর সৃষ্টির প্রথম ভাগে যা ছিল এখনো তাই আছে তবে চুলচেরা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে আবাদি জমির পরিমাণ কমেছে এমতাবস্থায় এলিলোকেমিক্যালের বদৌলতে আমাদের কৃষিক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হল। চার্লস ডারওইনের সেই বিখ্যাত উক্তিটি মনে পড়ছে সার্ভাইভাল অফ দ্যা ফিটেস্ট অর্থাৎ পৃথিবী এমন একটি জায়গা যেখানে শুধুই “যোগ্যতমের বেঁচে থাকা”।

টীকা:
১. pH is a numeric scale used to specify the acidity or basicity of an aqueous solution. It is approximately the negative of the logarithm to base 10 of the molar concentration, measured in units of moles per liter, of hydrogen ions.
২. Subset is a part of a larger group of related thing.

The post উদ্ভিদের প্রতিরক্ষার কৌশল appeared first on NSSB.

Rufous Treepie

$
0
0

Rufous Treepie

Rufous Treepie Rufous Treepie Rufous Treepie Rufous Treepie Rufous Treepie Rufous Treepie

বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিভাগঃ-
Scientific Classification

রাজ্য / Kingdom: Animalia
বর্গ / Order: Passeriformes
পরিবার / Family: Corvidae
গন / Genus: Dendrocitta
প্রজাতি / Species: D. vagabunda


Rufous Treepie


বাংলা নামঃ
হাঁড়িচাচা, কুটুম পাখি
English Name: Rufous Treepie
Scientific Name: Dendrocitta vagabunda

DescriptionDistributionReport Us

A bird from the Crow family (Corvidae) is native to Indian Subcontinent and Parts of Southeast Asia. Very easily identifiable for its loud unpleasant sound ,color and shape. Due to harsh musical sound/call the Rufous Treepie called Harichacha (হাঁড়িচাচা).Its named after that because when the women in village clean their utensils with scrub it makes similar unpleasant sound.Though it has another sweet name in Bengli which is Kutum Pakhi (কুটুমপাখি).

SIZE, WEIGHT and LENGTH : about 45-50 cm including, Tail length up to 30 com. Weighs about 90-130 g

Roufous Tree Pie easily identifiable for its distinctive features like : The long graduated tail is pale grey with wide black band at the end. Blackish head, breast and upper mantle, face and throat are darker , blackish grey bill, Red eyes with black iris. The upper parts are rufescent-brown turning orange-buff on upper tail. The upper wing, secondary wing are silvery-grey, contrasting with the black rest of wing. On the under parts, the lower parts are deep buff-rufous, turning orange-buff on under tail-coverts. Both sexes are similar

Food habit : Tree Pie omnivore like other Corvidaespecies.Feeds on almost completely in trees on fruits, seeds,figs from Ficus ,large variety of insects n their larvae, Spiders, snails small invertebratessuch as small reptiles and the eggs and young of birds,  rodents, bats, snakes, frogs and lizards etc.It has also been known to take flesh from recently killed carcasses.It also found to follow domestic cattle and wild large mammals to feed on ectoparasites and all invertebrates flushed by the large animals

Both adults take part in building its nest, normally their nest is flimsy and small build on trees or in bushes. Female Lays 2-6 eggs .Both sexes share incubation and nesting duties and also caring and feeding of  young ones.

(Kawsar Mostafa)

The RufousTreepie found in open deciduous woodlands, dry forest, mixed deciduous forest, secondary growth and even cultivated areas with scattered trees. At also found in city parks and gardens.Though mostly found in low altitude but it can be observed as high as 2000mtr above sea level.

Native bird of Indian Subcontinent also found in Myanmar, Laos, Thailand, Combodia. Due to its food habits –consumption of large quantities insects tree pie is not considered as pest though it sometimes cause damages to crops, rather it can be considered as friend the farmer.

[ninja_forms id=6]

The post Rufous Treepie appeared first on NSSB.

Striped Tiger

$
0
0
Striped Tiger

Striped Tiger, Photo- Mohosin Khan Towhid

লেখকঃ Sakib Chowdhury Abir

বাঘবল্লা (Striped Tiger) নিমফ্যালিডি (Nymphalidae) পরিবারের সদস্য এবং ডানায়িনি (Danainae) উপগোত্রের অন্তর্গত এক প্রজাতির মাঝারি থেকে বড় আকারের প্রজাপতি যা ডোরাকাটা বাঘ নামেও সমধিক পরিচিত । বাঘবল্লার বৈজ্ঞানিক নাম Danaus genutia

এদের চূড়া বাদে সামনের দুই ডানার ওপরের বাকি অংশ দেখতে বাঘের মতো তাই ডোরাকাটা বাঘ বা বাঘবল্লা বলে নামকরণ করা হয়েছে । এই প্রজাপতির ওপর-পিঠ কমলা রঙের এবং শিরাগুলোর ওপর চওড়া কালো কালো টান দেখা যায়। সামনের ডানার শীর্ষের দিকে কিছুটা কালো জমির ওপর সাদা পটি আছে। এই কালো অঞ্চল সাদা পটি পেরিয়ে উপর দিকে চকোলেট রঙ দেখা যায়। পুরুষ প্রজাপতির নীচের পিঠে ডানার মাঝামাঝি কালো সাদায় মেশানো একটা ছোপ থাকে ।

Striped Tiger

Striped Tiger, Photo: Mohosin Khan Towhid

প্রসারিত অবস্থায় বাঘবল্লার ডানার আকার ৭২-১০০ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের হয়ে থাকে । জঙ্গল, ঝোপঝাড়, বাগানসহ যেখানে যেখানে ফুলগাছ জন্মে থাকে সর্বত্রই এদের দেখতে পাওয়া যায় । বাঘবল্লা সাধারণত মাটির মাত্র কয়েক ফুট ওপর দিয়ে ধীর ভঙ্গিতে উড়ে থাকে, যদি না এদের বিরক্ত করা হয় ।

Egg

Egg, Photo- Internet

ডোরাকাটা বাঘের ডিম রূপালী বর্ণের এবং লম্বাটে আকৃতির হয় যার গায়ে লম্বালম্বি খাঁজ কাঁটা থাকে । গাছের পাতার পিছন-পিঠে ডিম দেখা যায় । শূককীট মখমলের মতো কালো বর্ণের। তার ওপর নীলচে সাদা ও হলুদের ছোপ এবং সাদা রেখার বেড় দেখা যায় ।

Lurva

Lurva, Photo- Internet

এই শূককীটগুলো Asclepius curassivica (মরিচা ফুল), Ceropegia intermedia, Vincetoxicum প্রজাতির উদ্ভিদ যেমন- Cynanchum dalhousieae, Cynanchum liukiensis, Marsdenia, Tylophora tenius, Raphistemma pulchellam এবং Asclepiadacea গোত্রের আরও বহু উদ্ভিদের গাছের পাতার রসালো অংশ আহার করে । মূককীট সবুজ রঙের হয়। তার ওপর সোনালি বিন্দু বিন্দু ফুটকি থাকে।

Pupa

Pupa, Photo- Internet

বাংলাদেশের সর্বত্র এই প্রজাতির দেখা মিলে । এর বাইরে সমগ্র ভারতজুড়ে, শ্রীলংকা, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, নেপাল, মায়ানমার, দক্ষিণ চীন, জাপান, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামে এদের বসবাস রয়েছে ।

তথ্যসূত্রঃ
(১) উইকিপিডিয়া
(২) Butterflies of Bangladesh by Shafique Haider Chowdhury & Monwar Hossain

The post Striped Tiger appeared first on NSSB.

ব্রোকেন বোন ট্রি- মধ্যরাতের হরর

$
0
0

চারিদিকে ঝলমলে জ্যোৎস্না চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে আর ঝির ঝিরে হালকা বাতাস পড়ার টেবিলে একটুও মন নেই কিন্তু ক’দিন পরেই প্রিটেস্ট পরীক্ষা শুরু হবে। টেবিলে বসে আছি মৃদু হারিকেনের আলোতে, একটা ছায়া দেখতে পেয়ে মুখ ঘুরিয়ে দেখি বাবা দাঁড়িয়ে আছেন! চোখে চোখ পড়তেই জিজ্ঞেস করলেন Full free Studentship application কি শেখা হয়েছে? আমি খুব কষ্টে উত্তরে জানালাম জি বাবা হয়েছে। লিখে দেখানোর আদেশ হল পাশে বাবা বসে আছেন আমি লিখছি কিন্তু পরীক্ষক বাবা এতক্ষণে বুঝে গেছেন আমার ঠিকমত শেখা হয়নি। তিনি বলতে লাগলেন এই ছলু..ছলু..কই গেলি আমাকে একটা ছিটকি (বাঁশের কঞ্চি) দিয়ে যা এর মধ্যেই আমাদের অতি বিশ্বস্ত কাজের ছেলে ছলু ছিটকি নিয়ে হাজির, বাবা প্রথম শুরু করলেন যদি পড়াশোনা ঠিকমত না করো তাহলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও তারপর……!! যাই হোক এক পর্যায়ে তিনি থামলেন।

আমি পুনরায় মনোনিবেশ করলাম কিন্তু একটা কথা আমার মনে খুবই দাগ কেটেছিল “পড়াশোনা না করলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও” বার বার মনের সাথে যুদ্ধ করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে বাড়ি থকে বের হয়ে যাওয়াই এখন বুদ্ধিমানের কাজ কেননা এখানে দু’টো রসায়ন কাজ করছিলো আগের দিন বিকালে আমার গোলাপ গাছের পরিচর্যা দেখে বাবা বলছিলেন পরীক্ষার আগে তোমাকে আমি আর এসব কাজে একবারের জন্যও দেখতে চাইনা আর আজ যোগ হল ফুল ফ্রি স্টুডেন্টশীপ। নিঝুম রাত, ১০টা বাজে একা একা বের হয়ে গেলাম জ্যোৎস্নার আলোতে আমার গোলাপ গাছের পাশ দিয়েই যাচ্ছিলাম আমাকে সুগন্ধ ছড়িয়ে ফুলগুলো বিদায় দিচ্ছিল তখন কি যে ভালো লাগছিলো তা এখানে ফুটিয়ে তোলা যদিও সহজ কাজ নয় তবে যে ছেলে সন্ধ্যার পর মায়ের আঁচল ধরে ঘরের বাইরে যায় সেই ছেলে বীরের বেশে একা একা নিঝুম রাতে বাড়ি পালাচ্ছে!! আজো ভাবলে আমার গায়ে শিহরণ লাগে আমি এই কাজ করতে পেরেছিলাম?

বাড়ি থেকে আনুমানিক ১মাইল (তখনো কিমি এর হিসাব আসেনি) যেতেই জ্যোৎস্নার আলো আধারিতে Oroxylum indicum গাছের মাথায় বিশালাকার সিমের মত ফল গুলিকে ঝুলতে দেখে মনে হচ্ছিলো ছোট বাচ্চাকে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে সত্যি মিডনাইট হরর!! আমি ভয় কাটানোর জন্য গান ধরলাম, আমার হাওয়ার গাড়ি চইল্যা গেলো রে বন্ধু আইলো না….। গানে কি আর ভয় কাটে একটু এগোতেই শিয়ালের হুক্কা হুয়া শব্দ, ও মা গো বলে চিৎকার দিয়ে বাড়ির দিকে দৌড় শুরু করলাম কাছাকাছি এসেই ভাবলাম তাহলে আমি কি হেরে যাচ্ছি? না তা হতে দেয়া যায় না। বাড়ির গোয়াল ঘরে আশ্রয় নিলাম। মায়ের কান্না শুনতে পাচ্ছি আর বাবার কণ্ঠ “আসলে এভাবে বকা দেয়া ঠিক হয়নি” আহা আমার পালিয়ে যাওয়া সার্থক। কিন্তু গোয়াল ঘরের ধোঁয়ায় কতক্ষণ থাকা যায় চলে গেলাম পাশের বাড়িতে একটা পানের বরজে সারারাত কাটিয়ে মশার কামড়ে অস্থির হয়ে তাদের বৈঠক ঘরে খড়ের পালার উপর মহাসুখে নিদ্রায় মগ্ন, এর মধ্যেই আমাদের বিশ্বস্ত কাজের ছেলে ছলু আমাকে আবিষ্কার করে বাড়ি নিয়ে গেলো ও সে আমাকে অশ্বস্ত করলো বাবা কিছু বলবে না। ঘটনা এখানেই শেষ নয় বাড়ির আশে পাশের সহপাঠীরা পরদিন সকালে আমাকে ক্ষ্যাপাতে শুরু করলো–কেউ বলছে হারিয়ে যাওয়া মুরগি, আবার কেউ বলছে পক্ষী খাঁচায় ফিরেছে ইত্যাদি। আমাকে আপনারা ক্ষমা করবেন কারণ Oroxylum indicum এর সাথে আমার এই বাস্তব স্মৃতি টুকু আপনাদের শেয়ার না করে পারছিলাম না।

13516250_1271268832883595_6555182412931045805_n 13465950_1271268882883590_1447794113953768311_n 13528991_1271268909550254_5784500779842272039_n 13580368_1271268946216917_8957494141783515212_o

এই গাছকে অঞ্চলভেদে বান্দর গাছ বলে এর ফল ঝুলে থাকলে বান্দরের মতই দেখায়। এছাড়াও একে মধ্যরাতের হরর বলা হয়। বাংলায় এটি সোনা গাছ ও কানাই ডিঙ্গা নামে পরিচিত তবে এর নাম কেন সোনা হল তার সঠিক কারণ আমার জানা নেই। একে ইংরেজিতে ব্রোকেন বোন ট্রি বলা হয় কেননা এর ফল পেকে যদি গাছের নিচে পড়ে তাহলে মনে হয় যেন কোন প্রাণীর হাড় ভেঙ্গে পড়ে আছে। এদের ফুলের আকারের উপর নির্ভর করে একে ইন্ডিয়ান ট্রুপমেট ফুল বলা হয়। যে ভাবেই এর নামকরণ করা হোক না কেন এই উদ্ভিদের ফল নিয়ে একটা মিথ আছে। কখনই এই বিশালাকার ফল বাড়িতে আনতে দেয়া হতো না কারণ হল এই ফল যার বাড়িতে যাবে সেখানেই কোন না কোন বিষয় নিয়ে ঝগড়ার সৃষ্টি হবে। এই অপবাদে ঔষধি গুন সম্পন্ন এই উপকারী তরুটি আমাদের দেশ থেকে একেবারেই বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। আজকাল গ্রামাঞ্চলে গেলে এই বৃক্ষকে দেখাই যায় না, অনেককে জিজ্ঞেস করলে এই ব্যাপারে কিছুই বলতে পারেনা।

উদ্ভিদ বিজ্ঞানী কার্ল লিনিয়াস এর উদ্ভিদতাত্বিক নামকরণ করেন Oroxylum indicum, এই উদ্ভিদে প্রাপ্ত ক্যামিকেল baicalein-7-O-diglucoside (Oroxylin B) এর উপর ভিত্তি করে এর গনের নামকরণ করা হয়েছে Oroxylum. এই প্রজাতিটি যেহেতু এই উপমহাদেশের ইন্ডিয়াতে বেশি দেখা যায় তাই এর স্পেসিসের নামকরণ করা হয়েছে indicum. এটি Bignoniaceae (Jacaranda family) পরিবার ভুক্ত পেরিনিয়াল পর্ণমোচী তরু যার আদি বাসস্থান আমাদের এই উপমহাদেশ। এটি ৮-১০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়, যা Bignonia indica ও Calosanthes indica সমনামেও অনেকের কাছে পরিচিত।

Oroxylum indicum এর বীজ ট্র্যাডিশনাল ইন্ডিয়ান আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মূল ও বাকল এর রস বহু বছর ধরে বিখ্যাত টনিক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এর বাকল থেকে তৈরি ঔষধ রিউমেটয়েড আথ্রাইটিজের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এই উদ্ভিদে প্রাপ্ত উপক্ষারে এন্টি ক্যান্সার প্রপার্টিজ আছে বলে অনেকের ধারনা।

আশ্চর্যজনক বাহ্যিক চেহারার কারণে এই গাছকে ornamental উদ্ভিদ বলা হয়। লম্বা ফল মগডালে নিচের দিকে ঝুলে থাকে যাকে অনেকে সৌন্দর্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কারণ রাতে এর ফল গুলি দেখতে ঝুলন্ত কাস্তে বা তলোয়ারের মত মনে হয়। এই উদ্ভিদের একমাত্র পলিনেটর হল বাদুড় কিন্তু এদের খাদ্যের অভাব ও বনাঞ্চলের কারণে বাসস্থান স্বল্পতা হেতু আজ বাদুড়ের সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে ফলশ্রুতিতে যে কয়টি সোনা গাছ ছিল এদের ঠিকমত পরাগায়নের অভাবে আজ এই উদ্ভিদ এনডেঞ্জার প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে।

ছবি: গুগোলের সৌজন্যে।

The post ব্রোকেন বোন ট্রি- মধ্যরাতের হরর appeared first on NSSB.

Black-hooded Oriole

$
0
0

Black Hooded Oriole

Black Hooded Oriole Black Hooded Oriole Black Hooded Oriole Black Hooded Oriole

বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিভাগঃ-
Scientific Classification

রাজ্য / Kingdom: Animalia
বর্গ / Order: Passeriformes
পরিবার / Family: Oriolidae
গন / Genus: Oriolus
প্রজাতি / Species: O. xanthornus


Black-hooded Oriole


বাংলা নামঃ
হলদেপাখি / বেনেবউ / ইষ্টিকুটুম
English Name: Black-hooded Oriole / Asian Black-headed Oriole / Oriental Black-headed Oriole / Indian Black-headed Oriole / Ceylon Black-headed Oriole
Scientific Name: Oriolus xanthornus

DescriptionDistributionReport Us
 The black-hooded oriole (Oriolus xanthornus) is a member of the Oriolidae family.

In Bangla the bird named with two wonderful name and in both name has two wonderful story/folklore. Story behind  IstiKutum (ইষ্টিকুটুম) is – people in the village believes if anyone see the bird in their courtyard this is the sign that guest will visit the house. Story behind the second bangla name Benebou (বেনেবউ) is – An unfortunate wife of a village merchant used to be tortured by her mother-in-law. Her mother in law used to make her starve even for a minor mistake. On such aoccasion when she was making Pitha(a special food (hand made sweet/cake like traditional Bengali food) the lady/girl could not bear the hunger and start eating directly from the cooking vessel as her mother in law was out of sight. Her Sari(Traditional Garment the Bengali ladies wear) was already stained with the turmeric used for cooking. To her utter surprise when she saw her mother in law saw her eating the ‘Pitha’ she got scared and jumped to nearby pond an died but the goddess that protects the children made her into a bird with the head covered with black soot from the earthen vessel and body a yellow as turmeric paste, the black hooded oriole. For this reason one of  the Bengali name of the bird is “benebou” which means the merchant’s wife

The adult  male has glossy black head contrasting with golden yellow body, bold yellow edges to black tertailsand secondaries.Adult female are almost similar but has yellow olive mantle. Bill is pink and legs are black. Immature birds hood is not solidly black, yellow forehead, yellow streaking on the crown ans on the side of the head,black streaking on white throat, defuse black streaking on yellow breast. duller wings with narrow yellowish edges to flight feathers. Immature bird has also dark bill.

Food habit : Mainly berries and fruits, especially figs (Ficus), peepal (Ficusreligiosa), insect, also some nectar.

SIZE and WEIGHT: Length 23-25 cm  and Weighs about  80 gm

 

(Kawsar Mostafa)

The Black-hooded Oriole (Oriolus xanthornus) is a resident breeder in tropical southern Asia from India and Srilanka, Myanmar, Thailand.Also found  in Parts of Malaysia and Indonesia. There is no record in Pakistan. A very common bird of Bangldesh.

The Black-hooed Oriole inhabits in dry dipterocarp forest and mixed deciduous moist woodlands, open semi-evergreen and evergreen forest, found in city parks, gardens, village woods.

Built nest on trees,breeds throughout the years, normally two or more breeds per season.

Though population number declined over the years but still considered as not globally threatened.

[ninja_forms id=6]

The post Black-hooded Oriole appeared first on NSSB.


অবহেলিত আগাছা পেপারোমিয়া

$
0
0
Peperomia

Peperomia

আমাদের অতি পরিচিত আগাছা যাকে আমরা সকলেই পেপারোমিয়া নামে অবাঞ্ছিত উদ্ভিদ হিসেবেই জানি। মাটি থেকে মূলরোমের দ্বারা শোষিত পানি ও খনিজ লবণের দ্রবণ (রস) যে জাইলেম বাহিকার মধ্য দিয়ে পাতায় পৌছায় তা একটি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ কর। এই প্রশ্ন ও এর সমাধান আজকাল অনেক ছোট বাচ্চাকেও শেখানো হয়।সুতরাং পানি পরিবহনের এই পরীক্ষাটি করেননি এমন কাউকেই খোঁজে পাওয়া যাবে না। আমি যদি নতুন করে এই বিষয়ে আলোচনা করতে চাই তাহলে আপনারা মনে মনে হলেও বলবেন বেটা আমাদের সাথে তামাশা শুরু করেছে।

Peperomia pellucida’র প্রজাতি অংশের শব্দটি নেয়া হয়েছে ল্যাটিন ভাষা থেকে। ল্যাটিন ভাষায় pellucida ‘র আভিধানিক ইংরেজি অর্থ হল “transparent”, যার বাংলা হল “স্বচ্ছ”, কার্ল লিনিয়াস এই প্রজাতির নামকরণটি যথার্থই করেছেন কেননা এখানে নামকরণের সার্থকতা সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। কারণ এর পাতা কাণ্ড ও পত্রের শিরা বিন্যাস গুলো স্বচ্ছ। আর এই স্বচ্ছতার জন্যই উদ্ভিদের কাণ্ডে ও পাতায় পানি পরিবহনের পরীক্ষাটি আমরা করতে পারি। এর আরও কিছু সুন্দর নাম আছে সেগুলোর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। pepper elder, silverbush, rat-ear, man-to-man, clear weed ইত্যাদি নামে বিভিন্ন দেশে এটি পরিচিত।

Peperomia pellucida হল Piperaceae (গোল মরিচ পরিবার) পরিবারভুক্ত বর্ষজীবী অগভীর মুল বিশিষ্ট হার্ব। এরা সাধারণত ১৫-৪৫ সেমি উঁচু হয়ে থাকে। এদের মুল সাকুলেন্ট, চকচকে ও হার্ট আকৃতির মাংসল পত্র বিশিষ্ট। অনেকগুলো স্পাইকের মধ্যে Dot-like বীজ গুলি সংযুক্ত থাকে। এদের বীজ থেকে সরিষার মত গন্ধ পাওয়া যায়। Piperaceae পরিবারের প্রায় ডজন খানেক গন ও তিন হাজার প্রজাতি আছে।সারা বছরই এদের পুস্পায়ন ঘটে। এদেরকে সাধারণত ছায়া যুক্ত স্থানে এশিয়ার সর্বত্র জন্মিতে দেখা যায়। এরা যেহেতু ভিজা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে জন্মায় তাই এদের বীজ অঙ্কুরোদগম হতে অনুকূল পরিবেশের প্রয়োজন হয়। অনুকূল পরিবেশের অভাবে বীজ ৭-৮বছর পর্যন্ত সুপ্তাবস্থায় থাকতে পারে। পাখি গেছো শামুক মাটিতে জন্মানো পোকা কর্তৃক ও মাটি স্থানান্তরের কারণে যথাক্রমে এদের পরাগায়ন ও বীজের বিঃসরন ঘটে।

Peperomia

Peperomia

একটু পর্যবেক্ষণ করলেই দেখবেন আপনার বাসায় ছায়া যুক্ত স্থানে রক্ষিত টবে পেপারোমিয়া হঠাৎ উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে। অবাকও হতে পারেন কারণ এই টবটি প্রায় ৪-৫ বছর যাবৎ প্রচণ্ড রোদে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। আপনি মাটি পরিবর্তন না করে অনেক দিনের পুরানো মাটিকে খুঁচিয়ে পানি দিয়ে নরম করে একটা ছায়া প্রিয় গাছ লাগিয়ে যখনই পরিচর্যা শুরু করলেন দেখা গেলো একদিন ভোরে পেপারোমিয়া আপনাকে দেখে হাসি দিচ্ছে! কেন হাসছে? নিশ্চয়ই এর পিছনে অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে। কেনই বা হাসবে না বলুন! আপনি এত বড় উপকার করলেন তাকে এত বছরের সুপ্তাবস্থা থেকে তুলে এনে নতুন জীবন শুরু করিয়ে দিলেন। আর যাই হোক উদ্ভিদ আমাদের মত অকৃতজ্ঞ নয়!!

আমাদের দেশে প্রাপ্ত Peperomia pellucida প্রজাতিটি খাদ্য ও ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তবে এটি আগাছা হিসেবে জন্মিলেও এর হালকা সবুজ পত্র বিন্যাস ও এদের ইনফ্লোরোসেন্স যে কারো নজর কাড়ে। বিশেষ করে এর পর্ণরাজি শোভা বর্ধন করে। যেমন এই উদ্ভিদ বর্ষাকালে যখন ইটের দেয়াল গাত্রে জন্মে তখন এদের ফেলে না দিয়ে রেখে দিলে বাগানের সৌন্দর্য অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। এই উদ্ভিদের সমস্ত অংশ রান্না অথবা কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায়।

এদের analgesic properties থাকার কারণে prostaglandin synthesis এর উপর এর প্রভাব আছে। বিস্তৃত বর্ণালীর এন্টিবায়োটিক হিসেবে এদের সুখ্যাতি রয়েছে। যেমন Staphylococcus aureus, Bacillus subtilis, Pseudomonas aeruginosa ও Escherichia coli.এই ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী ফলাফল প্রদর্শন করে।এদের শুকনা পাতা থেকে Chloroform extracts vitro স্টাডিতে Trichophyton mentagrophytes এর বিরুদ্ধে antifungal (ছত্রাক নাশক) ফলাফল প্রদর্শন করে।

ট্র্যাডিশনাল (Ethnomedicine) ঔষধ হিসেবে P. pellucida পেটের ব্যথা, ফোঁড়া,ব্রণ,বাতের ব্যথা,গিটে বাত ও প্রচণ্ড মাথা ব্যথায় ব্যবহার করা হয়। ব্রাজিলে এই উদ্ভিদের কাণ্ড ও পাতা লিপিড লেয়ারিং এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই উদ্ভিদের ক্কাথ(decoction) ইউরিক এসিড লেভেল কমিয়ে দেয় ফলে ফিলিপাইনের লোকজন একে কিডনি সমস্যায় সেবন করে।

উদ্ভিদে প্রাপ্ত এসেনসিয়েল অয়েলের প্রধান ক্যামিকেল হল সেস্কুইতারপিন।Carotol হল প্রধান হাইড্রোক্সিলেটেড সেস্কুইতারপিন যা পেপারোমিয়া উদ্ভিদের ক্যামিকেল বিশ্লেষণ করে পাওয়া গিয়েছে। ফ্লাভোনয়েডস, ফাইটোস্টেরল, আর্লপ্রোপানয়েড প্রভৃতি ক্যামিকেল পেপারেমিয়া উদ্ভিদ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে যা বহু বছর যাবত মানব কল্যাণে ব্যবহার হয়ে আসছে। এতে প্রাপ্ত আর্লপ্রোপানয়েড ছত্রাক নাশক ফলাফল প্রদর্শন করে। আগাছা হিসেবে পরিচিত এইসব উদ্ভিদগুলিকে আমরা যতই অবহেলার চোখে দেখি না কেন, এরা কিন্তু আমাদেরকে খাদ্য পুষ্টি পথ্য ও ঔষধের যোগান দিয়ে যাচ্ছে আর নীরবে অক্সিজেন সরবরাহ করছে।

সতর্কতা: যে কোন ঔষধ রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সেবন ও বিতরণ উচিৎ নয়।

The post অবহেলিত আগাছা পেপারোমিয়া appeared first on NSSB.

Bar-Headed Goose

$
0
0

Bar-headed goose

বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিভাগঃ-
Scientific Classification

রাজ্য / Kingdom: Animalia
বর্গ / Order: Anseriformes
পরিবার / Family: Anatidae
গন / Genus: Anser
প্রজাতি / Species:  A. indicus


Bar-Headed Goose


বাংলা নামঃ রাজ হাঁস
English Name: Bar-Headed Goose
Scientific Name: Anser indicus

DescriptionDistributionReport Us
 

Will be uploaded soon

[ninja_forms id=6]

You may also like
[Find More Birds here]

The post Bar-Headed Goose appeared first on NSSB.

Bengal Bush Lark

$
0
0

Bengal bush lark

বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিভাগঃ-
Scientific Classification

রাজ্য / Kingdom: Animalia
বর্গ / Order: Passeriformes
পরিবার / Family: Alaudidae
গন / Genus: Mirafra
প্রজাতি / Species: M.assamica


Bengal Bush Lark


বাংলা নামঃ ভরত
English Name: Bengal bush lark/Rufous-winged bush lark
Scientific Name: Mirafra assamica

DescriptionDistributionReport Us
 

Will be uploaded soon

[ninja_forms id=6]

You may also like
[Find More Birds here]

The post Bengal Bush Lark appeared first on NSSB.

Barn swallow

$
0
0

Barn Swallow

বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিভাগঃ-
Scientific Classification

রাজ্য / Kingdom: Animalia
বর্গ / Order: Passeriformes
পরিবার / Family: Hirundinidae
গন / Genus: Hirundo
প্রজাতি / Species: H. rustica


Barn swallow


বাংলা নামঃ সাধারণ আবাবিল , পাতি আবাবিল , আবাবিল , জলঠোকা
English Name: Barn swallow
Scientific Name: Hirundo rustica

DescriptionDistributionReport Us
 

Will be uploaded soon

[ninja_forms id=6]

You may also like
[Find More Birds here]

The post Barn swallow appeared first on NSSB.

Asian Openbill

$
0
0

Asian openbill

বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিভাগঃ-
Scientific Classification

রাজ্য / Kingdom: Animalia
বর্গ / Order: Ciconiiformes
পরিবার / Family: Ciconiidae
গন / Genus: Anastomus
প্রজাতি / Species: A. oscitans


Asian Openbill


বাংলা নামঃ শামুক খোল/শামুক ভাঙ্গা
English Name: Asian openbill / Openbill stork
Scientific Name: Anastomus oscitans

DescriptionDistributionReport Us
 

Will be uploaded soon

[ninja_forms id=6]

You may also like
[Find More Birds here]

The post Asian Openbill appeared first on NSSB.

Viewing all 364 articles
Browse latest View live