Quantcast
Channel: NSSB
Viewing all 364 articles
Browse latest View live

শত্রু তুমি বন্ধু তুমি দুরিয়ান (Durian)

$
0
0

13254104_1244483748895437_5498865823259206390_n

পৃথিবীতে উদ্ভিদ,ফল ও ফুলের যে বৈচিত্রতা পরিলক্ষিত হয় তা অন্য কোন ক্ষেত্রে এতটা দেখা যায় না। সুধি পাঠক বিচিত্র একটা ফল দুরিয়ান নিয়ে কিছু তত্ব ও তথ্য পরিবেশন করছি। দুরিয়ান হলো তীব্র সুগন্ধযুক্ত ফল দেখতে আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের মত। এটি দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার একটি পেরিনিয়াল সপুষ্পক উদ্ভিদ। যদি আপনি থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা ভ্রমণ করে থাকেন তাহলে নিশ্চই এই ফল দেখেছেন ও কেউ কেউ হয়ত খেয়েছেন। এখন বাংলাদেশের সুপার শপেও পাওয়া যায়।
এটি Malvaceae পরিবারের (উপপরিবার Helicteroideae) Durio গণভুক্ত উদ্ভিদ। কার্ল লিনিয়াস এর বৈজ্ঞানিক নামকরন করেন Durio zibethinus L. বর্তমানে এর প্রায় ৩০ টি প্রজাতি আছে যার মধ্যে ৯ টি প্রজাতি ভক্ষন যোগ্য। যেহেতু zibethinus প্রজাতিটিই আন্তর্জাতিক বাজারে পাওয়া যায় সংগত কারনেই আমি এই প্রজাতিটি নিয়ে আলোচনা করছি।
Durian শব্দটি এসেছে মালয় ও ইন্দোনেশীয় ভাষা থেকে যার মানে হলো কাটা (Spike), এই ফলে অসংখ্য কাটা থাকে যা কাঁঠালের চেয়ে সরু। পাকা ফলের ভিতরের অংশ দেখতে কাঁঠালের কোষের মত হলুদ মিস্টি ও তীব্র সুঘ্রানের জন্য এই ফল খুবই জনপ্রিয়। এছাড়া এর জনপ্রিয়তার আর একটি প্রধান কারন হলো এর পুষ্টিগুণ। অনেক পুরুষ লিবিডো বাড়ানোর জন্য এই ফল ভক্ষণ করে থাকেন।

13239375_1244483728895439_7918031716823343486_nদুরিয়ানের ফুড-ফুড রিয়েকশন খুবই ভয়াবহ। কথায় আছে “সৎ সংগে স্বর্গ বাস অসৎ সংগে সর্বনাশ” এই ফলের ব্যাপারটা অনেকটা এরকম। সুধী পাঠক চলুন দেখি এর ভয়াবহতা।
এ পর্যন্ত অনেক রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে যাতে দেখা যায় দুরিয়ান (Durian) ফল কোকা কোলা, এলকোহল, কফি অথবা দুধের সাথে খেলে মৃত্যু ঘটায়। Kim-Siang Ng নামের চাইনিজ টুরিস্ট থাইল্যান্ডে বেড়াতে যেয়ে দুরিয়ান খাওয়ার পরে কোকা কোলা পান করে মৃত্যু বরণ করেন।
দুরিয়ান ও কোক কম্বিনেশন কে কোবরা পয়জনের সাথে তুলনা করে সাধারন জনগনকে সতর্ক করে দেয়া হয় দুরিয়ান খাওয়ার পর পরেই কোকা কোলা, এলকোহল, উচ্চ মাত্রায় ক্যাফেইন ও দুধ পান না করার জন্য। থাইল্যান্ডে আরো সতর্ক করা হয় দুরিয়ান খাওয়ার ৮ ঘন্টার মধ্যে উচ্চ মাত্রায় ক্যাফেইন সমৃদ্ব পানীয়, এলকোহল ও কোকা কোলা পান না করার জন্য।
সুত্র মতে চাইনিজ পর্যটক Kim এর মৃত্যুর কারন ছিলো দুরিয়ান খাওয়ার পরেই উচ্চ মাত্রায় ক্যাফেইন পান করা ফলে caffeine intoxication হয় যার জন্যই শরীরে রক্তচাপ অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যায়।

13256549_1244483785562100_31948285128496768_n
Tsukuba বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক John Maninang ও Hiroshi Gemma দুরিয়ান ও কোকা কোলা কম্বিনেশনকে deadly combination বলে অখ্যায়িত করেছেন। তাঁরা প্রমান করতে সক্ষম হন যে দুরিয়ান ফলে (Durian) উচ্চ মাত্রার সালফার থাকে ফলে এলকোহল ভাংতে (মেটাবলিজম) বাধা প্রদান করে ও যে সব এনজাইম(Aldehyde dehydrogenase) শরীর থেকে দুষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে সেই এনজাইমগুলোর কার্যক্ষমতা ৭০ ভাগ নস্ট করে দেয়। এই স্টাডি থেকে প্রমানিত এনজাইমের ক্রিয়া নস্ট করে দেয়ার জন্য শরীর থেকে বর্জ্য নিঃসৃত করতে পারে না ও এলকোহল ক্যাফেইন ভাংতে(metabolism) পারে না বলেই মৃত্যু ঘটে।
সতর্কতাঃ এই ফল খাওয়ার সুযোগ হলে নিশ্চই খাবেন কিন্তু খাওয়ার ৮/৯ ঘন্টার মধ্যে কোকা কোলা জাতিয় পানীয়,চা, কফি,দুধ ও এলকোহল পান করা থেকে বিরত থাকবেন।
টীকাঃ
লিবিডো(Libido) হলো যৌন চাহিদা। পুরুষের ক্ষেত্রে testosterone হরমোন লিবিডো বাড়াতে প্রধান ভুমিকা পালন করে। সুতরাং দুরিয়ান ফলে পুরুষের testosterone হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে।
ছবিঃ গুগলের সৌজন্যে।

The post শত্রু তুমি বন্ধু তুমি দুরিয়ান (Durian) appeared first on NSSB.


কণ্ঠী নিমপ্যাঁচা

$
0
0


31 May 2016. সৌরভ মাহমুদ :

শালিক, বুলবুলি, ফিঙেসহ নানান পাখির চেঁচামেচি। সাধারণত পাখিরা কোনো বিপদের আঁচ পেলে অনেক পাখি মিলে চেঁচামেচি শুরু করে। ছোট পাখিরা সাধারণত বড় কোনো শিকারি পাখি যেমন বাজ, ইগল, প্যাঁচা দেখলে ভয় পায় এবং সবাই মিলে তাড়িয়ে দিতে চায়। সম্প্রতি বাগেরহাটের মংলা গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেল। একঝাঁক পাখির দল একটি কণ্ঠী নিমপ্যাঁচাকে দেখে চেঁচামেচি শুরু করেছে, আমগাছের ডালে বসে থাকা প্যাঁচাটিকে ঠোকর দিচ্ছে ব্রোঞ্জ ফিঙে। যেন গ্রামের সেই ঝোপ থেকে তাকে তাড়িয়ে দেবে। এসব জ্বালাতন সহ্য করেও প্যাঁচাটি উড়ে গিয়ে বসল আমগাছের অন্য ডালে। অনেকক্ষণ পর চেঁচামেচি থেমে গেল। অন্য পাখিরা উড়ে গেল। প্যাঁচা মাঝারি আকারের নিশাচর পাখি। বাংলাদেশে ১৬ প্রজাতির প্যাঁচার বাস। গ্রামীণ বন, পাহাড়ি বন এবং শহরে প্যাঁচা বসবাস করে। কণ্ঠী নিমপ্যাঁচা বন ও ফলের বাগানে বিচরণ করে। সচরাচর একা কিংবা জোড়ায় থাকে। দিনে গাছের পাতার আড়ালে বসে ঘুমায়। রাতে শিকার খোঁজে। খাবার তালিকায় আছে ফড়িং, টিকটিকি, গোবরে পোকা, ছোট পাখি। দিনের বেলায় ঘন পল্লব গুচ্ছময় গাছ, বাঁশবনে, গাছের কোটরে লুকিয়ে থাকে, যাতে মানুষ সহজে দেখতে না পায়। দিনে প্রায় সারাক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখে, মাঝে মাঝে চোখ খোলে। ঢাকার মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের বাঁশবনে গেলে কণ্ঠী নিমপ্যাঁচার দেখা পাওয়া যায়। সারা রাত বিরতি দিয়ে ডাকে টুউ বা নিম শব্দে। প্রজনন মৌসুম ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল। গাছের কাণ্ডের প্রাকৃতিক ফোকরে কিংবা কাঠঠোকরা পাখির পরিত্যক্ত বাসায় ডিম পাড়ে। ডিম সাদা, সংখ্যায় তিন-পাঁচটি। এটি বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি। বাংলাদেশ বাদে চীন, কোরিয়া, সাইবেরিয়ায় দেখা যায়। কণ্ঠী নিমপ্যাঁচা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্যাঁচা। এ প্যাঁচার কান-ঝুঁটি লম্বা। দেহের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৪ সেন্টিমিটার, ওজন ১৭০ গ্রাম। পিঠের দাগ ধূসর-বাদামি। দেহের নিচের দিকের পালক পীতাভ। পিঠ ধূসর-বাদামি, তাতে সাদাটে তিলা থাকে। ঘাড়ে কালচে বাদামি লাইন এবং পীতাভ পট্টি থাকে। চোখ কমলা বা বাদামি, হলদে সাদা পদতল, পা ও নখর মাংসল-ধূসর থেকে কৃষ্ণ ও জলপাই রঙের। নিচের ঠোঁট কালো ও হলুদ মিশেল ওপরের ঠোঁট সবুজাভ, গোড়া ফিকে ও আগা কালো। ছেলে ও মেয়েপাখির চেহারা অভিন্ন। কণ্ঠী নিমপ্যাঁচার দেখা পাওয়া মুশকিল, তবে রাতের বেলায় ডাক শুনে চেনা যায়।

Source: www.prothom-alo.com/bangladesh/article/873817

Photo Source: www.prothom-alo.com/bangladesh/article/873817

The post কণ্ঠী নিমপ্যাঁচা appeared first on NSSB.

গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ- এক তৃতীয়াংশ প্রবাল বিলীন

$
0
0


31 May 2016. এএফপি :

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের প্রবালের ৩৫ শতাংশ ক্ষয়ে হয়ে গেছে বা বিলুপ্তির পথে রয়েছে। বিজ্ঞানীরা গতকাল সোমবার এ কথা জানান। সাগরের ওপর এবং নিচ থেকে কয়েক মাস ধরে জরিপ চালিয়ে গত মার্চ মাসে প্রবাল হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন বিজ্ঞানীরা। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলেই ইউনেসকোর এই বিশ্ব-ঐতিহ্যে প্রবাল ক্ষয় ঘটছে বলে জানান টেরি হিউস। তিনি অস্ট্রেলিয়ার জেমস কুক ইউনিভার্সিটির অস্ট্রেলিয়ান রিসার্চ কাউন্সিল অব এক্সেলেন্স ফর কোরাল রিফ স্টাডিজের পরিচালক। তিনি বলেন, ‘ আমরা ৮৪টি প্রবালপ্রাচীরে জরিপ চালিয়ে দেখেছি সেগুলোতে গড়ে ৩৫ শতাংশ প্রবাল হয় হারিয়ে গেছে বা হারিয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে। গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে টাউনসভাইল থেকে পাপুয়ার নিউগিনিতে এ জরিপ চলে।’ টেরি হিউস বলেন, ‘গত ১৮ বছরে তৃতীয়বারের মতো উষ্ণায়নের জন্য প্রবাল ক্ষয় ঘটল এই গ্রেট ব্যারিয়ার রিফে। এ দফায় প্রবাল ক্ষয়ের পরিমাণ আগে থেকে অনেক বেশি।’ নতুন প্রবাল গঠন হতে অন্তত এক দশক সময় লাগে। তবে টেরির মতে, পুরোনো ও বড় প্রবাল পুনর্গঠন হতে এর চেয়ে বেশি সময় লাগবে। গত এপ্রিলে জেমস কুক ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক জানান, ২ হাজার ৩০০ কিলোমিটারের ৯৩ শতাংশ প্রবাল আক্রান্ত হয়েছে। সমুদ্রের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে প্রবাল ক্ষয় ঘটে । গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের দক্ষিণাংশে প্রবাল ক্ষয়ের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অস্ট্রেলিয়ার বেসরকারি সংগঠন মেরিন সায়েন্স কনজারভেশন সোসাইটি সরকারের কাছে প্রবাল রক্ষায় আরও তৎপর হওয়ার দাবি জানিয়েছে।

Source: www.prothom-alo.com/international/article/873256

Photo Source: www.prothom-alo.com/international/article/873256

The post গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ- এক তৃতীয়াংশ প্রবাল বিলীন appeared first on NSSB.

শৈবাল ও মসের সহাবস্থান

$
0
0

সমাজে অনেক বিত্তবান আছেন তাঁদের অনেক কিছু আছে তবু আরো চাই, শহর ও গ্রামের বেশীর ভাগ জায়গা তাঁদের চাই, আবার তাঁরাই বাসস্থানের জন্য ভূসম্পত্তির জন্য বিভিন্ন রকমের কৌশল অবলম্বন করেন ও অপেক্ষাকৃত দুর্বল মানুষের জায়গা ঠেলে নিজের জায়গার পরিধি বড় করে নিতে দিবারাত্রি ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু নিম্ন শ্রেণীর কতিপয় উদ্ভিদ পরস্পরকে জড়িয়ে চমৎকার সহাবস্থান করছে যুগ যুগান্তর ধরে। এদের কোন চাওয়া নেই, মোহ নেই, ঠেলাঠেলি নেই, শুধু এইটুকু চাওয়া বড় বড় বৃক্ষ গুলি যেন পরিমিত ছায়া প্রদান করে কেননা এই সব উদ্ভিদের প্রিয় আবাসস্থল হলো ছায়া যুক্ত পরিবেশের কোন পুরানো দেয়াল গাত্র অথবা বৃক্ষের কান্ড।

ফিনারিয়া মস ফিউনারিয়া মসের ফাকে চিহ্নিত স্থানে BGA দেখানো হয়েছে। Life cycle of a green Algae.

ছবিঃ লেখক নিজের।
লোকেশনঃ MCPSC Campus
১.ফিউনারিয়া মস
২.ফিউনারিয়া মস ও চিহ্নিত স্থানে BGA
৩.সবুজ শৈবালের জীবন চক্র (গুগলের সৌজন্যে)

শৈবাল যেহেতু মাইক্রোস্কোপিক উদ্ভিদ (অর্গানিজম) তাই খালি চোখে দেখে এদের সনাক্ত করা কঠিন তবে আবাসস্থলের উপর ভিত্তি করে বলা যায় স্যাঁতসেঁতে ছায়াযুক্ত স্থানে মসের ফাকে ফাকে থকথকে জেলীর মত পিচ্ছিল এক প্রকার বস্তু জন্মিতে দেখা যায় তা হলো Blue green algae(BGA) বা Green algae(GA)। এখানে BGA ও GA বলা ছাড়া আর অন্য কোন সুযোগ নেই কারন ল্যাবে টেস্ট না করা পর্যন্ত এটি BGA বা GA ‘র কোন প্রজাতি তা নিশ্চিত করে বলা কঠিন। এছাড়া পথচলিতে পুরানো দেয়াল গাত্রে ও বড় বড় বৃক্ষের বাকলে মকমলের মত সবুজ গালিচা বিছানো যে নিম্ন শ্রেণীর উদ্ভিদটি জন্মিতে দেখা যায় তা হলো মস। এদের হেবিট ও বাসস্থানের উপর ভিত্তি করে আমাদের শহরাঞ্চলের যান্ত্রিকতার ভিড়ে যে প্রজাতির মসটি বেশী পাওয়া যায় তা হলো ফিউনারিয়া মস যাদের প্রজননের জন্য পরিপক্ক অবস্থায় জননাঙ্গ উৎপন্ন করে। এই মসগুলি সাধারনত vegetative multiplication ও sexual reproduction এর মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে। উদ্ভিদের শায়িত শাখা প্রশাখা গুলো মরে গিয়ে খাড়া শাখা প্রশাখা গুলি সতন্ত্র উদ্ভিদ হিসেবে বিস্তার লাভ করে। পাতার ফাকে খুবই ক্ষুদ্র গিমা (gemmae) থাকে এই গিমা গুলোই অনুকূল পরিবেশে নতুন উদ্ভিদের জন্ম দেয়। পরিনত পুং জননাঙ্গ Anhteridium দেখতে club আকারের যেখান থেকে শুক্রানু নির্গত হয়ে স্ত্রী জননাঙ্গ Archrgonium এ পতিত হয় এবং নিষেক ঘটে ও নতুন উদ্ভিদের জন্ম দেয়।

নীলাভ সবুজ শৈবালের (blue-green algae) সুনির্দিষ্ট বহুকোষীয় reproductive গঠন দেখা যায় না। এদের সবসময় উর্বর গ্যামেট উৎপাদনকারী কোষ থাকে। উপর্যুক্ত পরিবেশে এই গ্যামেট থেকেই নতুন অপত্য উদ্ভিদের সৃষ্টি হয়। শৈবাল হলো এমন এক প্রকার উদ্ভিদ যাদের কখনোই আসল মূল, কান্ড ও পাতা থাকে না।ইংরেজিতে Algae শব্দটি হলো বহুবচন একে একবচনে Alga বলা হয়। শৈবাল জলজ (টেরিস্টেরিয়াল কিছু প্রজাতিও আছে) সালোকসংশ্লেষণে সক্ষম অপুষ্পুক উদ্ভিদ (অর্গানিজম)।

এইসব শৈবাল পরিবেশ গত দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পুকুর নদী নালা, ঝিলের পানিতে বসবাসরত যে সকল জীবের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় তাদের প্রধান যোগানদাতা হলো ইউনিসেলুলার শৈবাল গোষ্টি। যদি এইসব শৈবাল অক্সিজেন সরবরাহ না করে তাহলে পকুর, নদী ও বিভিন্ন জলাশয়ের ইকোসিস্টেম ধ্বংষ হয়ে যাবে। যেমন আমাদের বুডিগঙ্গা দুষণের ফলে সেখানকার পানিতে কোন প্রকার অক্সিজেন সরবরাহকারী শৈবাল ও ডায়াটম জন্মাতে পারে না তাই আজ সেখানে মাছ সহ অন্য কোন জলজ প্রাণীর অস্থিত্ব নেই। গ্রামাঞ্চলে পুকুরে গোসল করে যারা অভ্যস্ত তারা নিশ্চই দেখে থাকবেন যে পানিতে মরিচার মত এক প্রকার আস্তরন সারা পুকুর জুড়ে ভেসে বেড়ায়। আসলে এরা ডায়াটম জাতীয় মাইক্রো অর্গানিজম (এক কোষি শৈবাল) যা প্রতিনিয়ত সালোকসংশ্লেষণ করে অক্সিজেন সরবরাহ করছে। তবে এইসব ডায়াটম ও শৈবালের আধিক্য বেশী হলে এরা মরে গিয়ে পানিতে মৎস্যতুল্য দুর্গন্ধ ছড়ায় ও এক প্রকার টক্সিন নির্গত করে ফলে পানিতে বসবাসরত জলজ প্রাণী মারা যায়। এই পানিতে গোসল করলে ও পান করলে যথাক্রমে শরীর চুলকানো সহ বিভিন্ন রকমের চর্ম রোগ ও পেটের পীড়া মহামারি আকার দেখা দেয়।

দেয়াল গাত্রে বসবাসরত মস এদের রাইজয়েডের সাহায্যে পানি ধরে রাখে যেন সেখানে শৈবাল জন্মানোর উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়, অতঃপর এইসব মস ও শৈবালের নিচে জন্ম নেয় কিছু উপকারী অনুজীব ও কেঁচো যা মাটিতে নাইট্রোজেন সরবরাহ করে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।আমাদের চারপাশে নিম্নশ্রেণীর এককোষী আনুবিক্ষনীক উদ্ভিদ থেকে শুরু করে বিশালাকার উন্নত শ্রেনীর যে কোন উদ্ভিদই হোক না কেন সবই পরস্পরের উপর সমভাবে নির্ভরশীল। আর এই সব উদ্ভিদ গোষ্টির উপর পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত জীব মানুষ হিসেবে আমরা সরাসরি নির্ভরশীল।

The post শৈবাল ও মসের সহাবস্থান appeared first on NSSB.

সিলেট অঞ্চলে ৪৬ জাতের মাছ বিলুপ্তির পথে

$
0
0


6 June 2016. হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, সিলেট অফিস:

নদ-নদী, হাওর, বাঁওড় ও বিল প্রধান সিলেট একসময় প্রাকৃতিক মত্স্য সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে সুপরিচিত ছিল। এক যুগ আগেও ১০৭ প্রজাতির মাছ ছিল এখানে। এর মধ্যে ৪৬ প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির পথে। জলাশয় ভরাট, অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, কীটনাশকের ব্যবহার ও অবাধে মত্স্য নিধনের ফলে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেশীয় মাছ। সিলেট বিভাগীয় মত্স্য অধিদফতর জানিয়েছে, বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে ২০১১ সাল থেকে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে মত্স্য অধিদফতর। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ, প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে মত্স্য বিভাগের সিলেট বিভাগীয় উপপরিচালক ড. নিত্যানন্দ দাস বলেন, দেশীয় ও বিলুপ্ত প্রজাতির মাছের চাষ বাড়াতে মত্স্য বিভাগ থেকে চিহ্নিত অবক্ষয়িত জলাশয় উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা এবং দেশীয় প্রজাতির ছোট মত্স্য সংরক্ষণ প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রায় ৮১ লাখ টাকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত ও নার্সারি স্থাপন করে মাছের প্রজাতি সংরক্ষণের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিলুপ্তপ্রায় মাছের প্রজাতিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। এগুলো হচ্ছে, মহাবিপন্ন, সংকটাপন্ন ও বিপন্ন প্রজাতি। এরমধ্যে মহাবিপন্ন প্রজাতি মাছের মধ্যে রয়েছে- টাটকিনি, ঘারুয়া, বাঘাইড়, রিটা, রাণী, পাঙ্গাস, বামোশ, নাফতানি, চিতল, একথুটি ও চাকা। সংকটাপন্ন প্রজাতির মাছের মধ্যে রয়েছে- বাচা, ছেপচেলা, ঢেলা, বাঁশপাতা, কুঁচে, নাপতে কই, বাতাসিয়া টেংরা, ফলি ও গুজিআইড়। বিপন্ন্ন প্রজাতির মাছের মধ্যে রয়েছে- গুলশা, গনিয়া, দাড়কিনা, আইড়, পাবদা, বড়বাইম, গজার, তারাবাইম, তিতপুঁটি, নামা চান্দা ও কালিবাউশ। সিলেট জেলা মত্স্য কর্মকর্তা শঙ্কর চন্দ্র পাল বলেন, তালিকার বাইরেও আরো কিছু প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। যেমন চাপিলা মাছ, বালিগড়া, গুতুম, ভেড়া, খাকি, উপল, চেলাপাতা, লাড়িয়া প্রভৃতি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিমওয়ালা ও পোনা মাছ নিধন, সেচের মাধ্যমে মত্স্য আরোহণ, জলাশয়ে যত্রতত্র বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি, জলবায়ুর পরিবর্তন, অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহারসহ নানা কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে হাওর অঞ্চলের মত্সজীবীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি প্রয়োজন। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মত্স্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. শাহাবউদ্দিন বলেন, মাছের উত্পাদন ও বিলুপ্তি ঠেকাতে হাওরের জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং মা মাছের নির্বিঘ্নে বড় হওয়া ও প্রজননের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি উন্মুক্ত জলাশয়, বিল ও নদীতে অভয়াশ্রম স্থাপন করা প্রয়োজন। মাছের প্রজনন ও বৃদ্ধির জন্য নিরাপদ বিচরণস্থল তৈরি করতে না পারলে কোনোভাবেই মাছের বিলুপ্তি রোধ করা সম্ভব হবে না।

Source: www.ittefaq.com.bd/print-edition/others/2016/06/06/123827

Photo Source: www.amadershomoys.com <http://www.amadershomoys.com/unicode/2016/04/02/92551.htm>

The post সিলেট অঞ্চলে ৪৬ জাতের মাছ বিলুপ্তির পথে appeared first on NSSB.

শুকনা পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষে প্রযুক্তি উদ্ভাবন

$
0
0


6 June 2016. বাকৃবি (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা:

বোরো ধান চাষকে লাভবান টেকসই করতে শুকনা পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মশিউর রহমান ও তার গবেষক দল। দেশে প্রচলিত কাদা পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষে প্রতিকেজি ধান উত্পাদনে প্রায় ৩-৫ হাজার লিটার পানি খরচ হয়। নতুন কোনো জাতের উদ্ভাবন ছাড়াই বোরো ধান চাষে পানি সেচের পরিমাণ অর্ধেক দিয়ে ফলন বাড়ানো সম্ভব। এ পদ্ধতিতে প্রচলিত চাষের তুলনায় ৫০-৬০ শতাংশ পানি, ডিজেল ও বিদ্যুত্ সাশ্রয় হবে। এ ছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চালে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার ফলে বোরো ধান চাষ যে হুমকিতে রয়েছে তাও কাটিয়ে উঠবে। এতে ধান চাষ করে লাভবান হবে কৃষক। ড. মশিউর রহমান বলেন, এ প্রযুক্তিতে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে বীজ বপন করতে হয়। বীজতলা তৈরি করার কোনো প্রয়োজন হয় না। সামান্য অঙ্কুরিত বীজ (জো) অবস্থায় সরাসরি জমিতে লাইন ধরে বপন করতে হয়। ফেব্রুয়ারিতে বপনের ফলে আমন ধান কাটার পরে সরিষা, আলু বা অন্যান্য রবি শস্য চাষের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। প্রচলিত কাদা পদ্ধতিতে যেখানে ১৫-৩০ বার সেচ দিতে হয় সেখানে ৪-৮ বার সেচেই এ পদ্ধতিতে ফসল ফলানো যায়। ভূগর্ভস্থ পানি খুব সামান্য উত্তোলন করতে হয় বলে বিদ্যুত্ ও জ্বালানি তেলের খরচ কম হয়। জমিতে পানির পরিমাণ কম থাকায় কাদা পদ্ধতির তুলনায় এ পদ্ধতিতে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কম হয়। এ পদ্ধতিতে ধানের জীবনকাল ১৫ দিন কমে যায়। প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় এ পদ্ধতিতে ধানের ফলন বেশি হবে বলেও জানান তিনি। ড. মশিউরের গবেষণায় সহযোগী হিসেবে ছিলেন ডিএই এর ডিডি (এলআর) মো. জয়েন উদ্দিন, পিএইচডি শিক্ষার্থী শাহজাহান সরকার এবং রিসার্স ফেলো মোজাহার হোসেন।

Source: www.ittefaq.com.bd/print-edition/country/2016/06/06/123839

Photo Source: www.ittefaq.com.bd/print-edition/country/2016/06/06/123839

The post শুকনা পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষে প্রযুক্তি উদ্ভাবন appeared first on NSSB.

৩৫ বছরের মধ্যে ভয়াবহতম বন্যার ধাক্কা ইউরোপে

$
0
0


6 June 2016. আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

হঠাত্ বৃষ্টির জেরে বন্যায় বিপর্যস্ত ইউরোপের বিস্তীর্ণ এলাকা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি জার্মানি ও ফ্রান্সে। ইউরোপে বন্যায় এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৩৫ বছরের মধ্যে ফ্রান্সে এত ভয়াবহ বন্যা কেউ দেখেনি। পানির তলায় প্যারিসসহ বেশ কিছু শহর। ফ্রান্স ও জার্মানির কয়েকটি শহরে নদীর পাড় ভেঙে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে বসতি এলাকায়। থই থই রাস্তায় ইতস্তত ভাসছে আসবাবপত্র, গৃহস্থালির নানা জিনিস। হেলিকপ্টারে করে বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনেও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ফলে আরও বাড়তে পারে পানির স্তর। স্যেন নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ মিটার বেড়ে গিয়েছে। শিল্পসামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার জন্য গত শুক্রবার থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে পৃথিবীর সবচে বেশি দর্শনার্থীর পদভারে মুখর থাকা ল্যুভর মিউজিয়াম। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ জার্মানির বাভারিয়া। জার্মানিতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বন্যায়। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। উদ্ধার কাজ চালাতে গিয়ে জিমবাখ আম ইন শহরে একটি বাড়িতে আটকে পড়া তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা। কাছেই নদীতে ভেসে যাচ্ছিল এক মহিলার মৃতদেহ। ট্রিফটার্ন শহরে একটি স্কুলে মঙ্গলবার বিকেল থেকে আটকে ছিল প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী। পরে অবশ্য তাদের নিরাপদে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। জিমবাখ আম ইনে উদ্ধার করা হয় একটি স্কুলের প্রায় সাড়ে তিনশ’ শিক্ষার্থীকে। হঠাত্ এই প্রবল বৃষ্টির পিছনে রয়েছে অপ্রত্যাশিত একটি গভীর নিম্নচাপ যা গত কয়েক দিন ধরে মধ্য ইউরোপের উপরে অবস্থান করছে। আগামী কয়েক দিনেও পরিস্থিতি বদলানোর তেমন সম্ভাবনা নেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বন্যায় পুরো বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে ফ্রান্স। এই বন্যা যে ধ্বংসযজ্ঞ রেখে যাচ্ছে তার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বছরখানেক লেগে যাবে। এখনো বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে সেন নদীর পানি। বন্ধ হয়ে গেছে অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র। বন্যায় ভাসছে কয়েকটি শিল্পনগরী। আইফেল টাওয়ারসহ বহু পর্যটন ক্ষেত্র হুমকির মুখে পড়ায় সেগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং দর্শনার্থীদের প্রবেশে বাধা দেয়া হচ্ছে। বন্যার স্রোতের তোড়ে ভেসে গেছে শহরের বহু সেতু। পানি জমে আইফেল টাওয়ারের নীচে তৈরি হয়েছে ছোটখাটো নদী। গোটা প্যারিস শহর জুড়েই তৈরি হয়েছে এই ‘জলছবি’। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভলস বলেছেন, শিল্প সাহিত্যের শহর আজ কার্যত পানিবন্দী। এখনো যেসব জায়গায় বন্যা পা রাখতে পারেনি সেসব স্থানেও দরজায় কড়া নাড়ছে বন্যা। ফ্রান্সের বিস্তীর্ণ এলাকার প্রাণবন্ত ছবি সেই আগের মতো নেই। সবাই যেন পানির হাত থেকে বাঁচতে চাইছে। স্যেন নদীর পানিস্তরের উচ্চতা গত ৩৫ বছরের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। কোনো কোনো স্থানে পর্যাপ্ত খাবার ও পানীয় জলের অভাব। বিদ্যুত্ নেই অসংখ্য বাড়িতে। ডিঙি নৌকায় করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে ফ্রান্সের ট্রেন চলাচল। প্রভাব পড়ছে শহরের মেট্রো পরিষেবায়তেও। কর্মকর্তারা জানান, বন্যার পানি থেকে রক্ষা করতে পুরোদমে চলছে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার কাজ। প্যারিসের কর্মকর্তারা জানান, তারা স্যেন নদীর তীরে জরুরি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ তৈরি করছেন। এদিকে জার্মানিতে বেশ কয়েকটি শহর বন্যায় দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে বন্যায় হতাহত ও নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশেরই আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক করে বলেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফ্রান্সে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ঘোষণা করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। ক্ষতির ঝুঁকি এড়াতে উঁচু ও নিরাপদ স্থানে যাবার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। জানা গেছে, ফ্রান্সের স্যেন নদীর পানি এখন সাড়ে ৬ মিটার উচ্চতা দিয়ে বয়ে চলছে। বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে জার্মানির দক্ষিণাঞ্চল, রোমানিয়া, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ড আর পোল্যান্ড। ১৯৮২ সালের পর স্যেন নদীর পানি এত উপর দিয়ে আর প্রবাহিত হয়নি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রিফটার্ন শহর নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে গাড়িসহ গাছপালা ও বাড়িঘরের আসবাবপত্রও ভেসে গেছে। অনেক স্থানে সড়ক থেকে কয়েক মিটার উচ্চতা দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হচ্ছে রোট্টাল ইন জেলা। আকস্মিক এই বন্যার কারণে ট্রিফটার্ন শহরের একটি স্কুলে ২৫০ শিশু আটকা পড়ে ছিল। মঙ্গলবার সারারাত সেখানে অবস্থান শেষে বুধবার সন্ধ্যায় শিশুরা স্কুলভবন ত্যাগ করতে সক্ষম হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্নার্ড কাজেনিউভ জানিয়েছেন, জরুরি উদ্ধারকর্মীরা বেলজিয়াম সীমান্তে এবং বারগান্ডি অঞ্চলে দুইদিনে ৮ হাজারেরও বেশি উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছেন।

Source: www.ittefaq.com.bd/print-edition/antorjatik/2016/06/06/123833

Photo Source: www.ittefaq.com.bd/print-edition/antorjatik/2016/06/06/123833

The post ৩৫ বছরের মধ্যে ভয়াবহতম বন্যার ধাক্কা ইউরোপে appeared first on NSSB.

পাঁচ সেকেন্ডে ম্যালেরিয়া নির্ণয়

$
0
0


6 June 2016:

ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি এক শিক্ষার্থী বানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাসেসমেন্ট অব ম্যালেরিয়া (র‌্যাম) নামে একটি ডিভাইস। ২৬ বছর বয়স্ক এ শিক্ষার্থীর নাম জন লিওয়ানদোওস্কি। এ ডিভাইসের মাধ্যমে একফোঁটা রক্ত থেকে পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে রক্তে ম্যালেরিয়া জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত করা যাবে। ওই পিএইচডি গবেষক বলেন, প্রাথমিক পর্যায়েই যাতে এ রোগের চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়, তাই লক্ষণ শুরু হওয়ার পাঁচ থেকে সাত দিন আগেই রোগের জীবাণু চিহ্নিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” বিশেষত আফ্রিকা ও এশিয়ার গ্রাম্য অঞ্চলগুলোতে এ ডিভাইসের সাহায্যে কম খরচে অল্প সময়ের মধ্যেই রোগ নির্ণয় করা যাবে বলে আশা করছেন ডিভাইসটির নির্মাতা বোস্টনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডিজিজ ডায়াগনস্টিক গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী লিওয়ানদোওস্কি। তিনি জানান, রক্তে ম্যালেরিয়া জীবাণুর উপস্থিতির ফলে আয়রন ক্রিস্টাল বা হেমোজয়েন তৈরি হয়। এ ক্রিস্টালগুলোর চৌম্বক ধর্ম ব্যবহার করে খুব কম সময়ের মধ্যেই রক্তে এ রোগের জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত করার ধারণাটি নিয়ে কাজ করেন তিনি। ব্যাটারিচালিত এই ডিভাইসটি বানাতে সাকুল্যে খরচ হবে ১০০-১২০ ডলার। এতে ৪ ইঞ্চি আকারের একটি প্লাস্টিক বক্সের ভেতরে রয়েছে একটি ছোট সার্কিট বোর্ড, কিছু চুম্বক এবং একটি লেজার। এর বাইরের অংশে রয়েছে একটি এলইডি স্ক্রিন, একটি এসডিসডি কার্ড স্লট এবং ফেলে দেয়া যাবে এমন একটি প্লাস্টিকের তৈরি টিউব। এ টিউবে এক ফোঁটা রক্ত প্রবেশ করালেই চুম্বকের আকর্ষণে হেমোজয়েনগুলো নির্দিষ্ট সন্নিবেশে সন্নিবিষ্ট হয়ে পড়বে, যা লেজারের সাহায্যে ধরা পড়বে। লিওয়ানদোওস্কি বলেন, এতে জটিল কোনো কারিগরি নেই।

Source: www.jugantor.com/last-page/2016/06/06/36680/

Photo Source: www.jugantor.com/last-page/2016/06/06/36680/

The post পাঁচ সেকেন্ডে ম্যালেরিয়া নির্ণয় appeared first on NSSB.


‘ব্যাকটেরিয়া সভ্যতা’

$
0
0


6 June 2016. কালের কণ্ঠ ডেস্ক:

রাস্তাঘাট, উঁচু উঁচু স্তম্ভ, খিলান, খাঁজকাটা এবং থাকে থাকে সাজানো একটি অবকাঠামো—সবই সমুদ্রের তলদেশে। ওপর থেকে দেখলে মনে হতেই পারে, কোনো প্রাচীন নগরীর ধ্বংসস্তূপ। মনে হওয়াটাও স্বাভাবিক। কারণ গ্রিসের ‘ঝাকিন্থস আইল্যান্ড’ নামের ওই দ্বীপে এর আগেও মানব সভ্যতার নিদর্শন মিলেছে। কিন্তু না, এবারের সভ্যতা মানবের নয়, ব্যাকটেরিয়ার। খবরটি ছাপা হয়েছে বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ‘মেরিন অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম জিওলজি’তে। ওই ‘প্রাচীন কাঠামো’র সন্ধান মেলে বেশ কয়েক বছর আগেই। আর তখন থেকেই ভাবা হচ্ছিল, সমুদ্রের তলায় লুকিয়ে থাকা ওই ‘প্রাচীন কাঠামো’ মানুষেরই বানানো। ধরে নেওয়া হয়, তার তলায় লুকিয়ে রয়েছে কোনো প্রাচীন নগরীর ধ্বংসাবশেষ! কিন্তু এসব অনুমান মেলেনি। হালের গবেষণায় জানা গেছে, সমুদ্রের অতটা গভীরে ওই কাঠামোটি বানিয়েছিল ব্যাকটেরিয়ারা। কোটি কোটি, লাখো কোটি ব্যাকটেরিয়া। অত বড় কাঠামো, অত সুন্দর, নিখুঁত কাঠামো বানানোটা সামান্য কয়েকজনের কাজ হতে পারে না! তাই শেষমেশ বিজ্ঞানীরা একমত হয়েছেন, কাঠামোটি মানব সভ্যতার নয়, ‘ব্যাকটেরিয়া সভ্যতা’র নিদর্শন। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।

Source: www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2016/06/06/366571

Photo Source: www.theguardian.com

The post ‘ব্যাকটেরিয়া সভ্যতা’ appeared first on NSSB.

বরফহীন হচ্ছে সুমেরু সাগর!

$
0
0


6 June 2016. কালের কণ্ঠ ডেস্ক:

গলতে গলতে প্রায় সাবাড় হওয়ার মুখে উত্তর মেরুর বরফের চাদর। প্রায় এক লাখ বছর পর গোটা উত্তর মেরু থেকেই ‘বিদায় ঘণ্টা’ বেজে গেল বরফের! হয় এ বছরের শেষেই, নইলে আগামী বছরেই সুমেরু সাগরকে ‘গুড বাই’ জানাতে পারে ‘বরফ-সাম্রাজ্য’। এমন দাবি করেছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘পোলার ওশান ফিজিক্স’ গ্রুপের প্রধান বিজ্ঞানী অধ্যাপক পিটার ওয়ারহ্যামস। যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডেটা সেন্টার’ জানাচ্ছে, গত জুনের শুরুতে সুমেরু সাগরে বরফ ছিল মাত্র এক কোটি ১১ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকায়। কিন্তু ৩০ বছর আগেও এই পরিমাণ ছিল এক কোটি ২৭ লাখ বর্গকিলোমিটার। মানে, গত তিন দশকে সুমেরু সাগরে ১৫ লাখ বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকা বরফহীন হয়ে পড়েছে। ছয়টা ব্রিটেনকে যোগ করলে যতটা আয়তন হবে, সুমেরু সাগরের ততটা এলাকা থেকেই বরফ গলে সাফ হয়ে গেছে। অধ্যাপক ওয়ারহ্যামসের দাবি, ‘এ বছরের সেপ্টেম্বরেই সুমেরু সাগরের আরো ১০ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকা থেকে বরফ সাবাড় হয়ে যাবে। আর আগামী বছরের শেষদিকে সুমেরু সাগরের ৩৪ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বরফ থাকবে নামমাত্র। এমনও হতে পারে, ওই সময় গোটা উত্তর মেরু থেকেই বরফ নির্বাসনে চলে যাবে।’ সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।

Source: www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2016/06/06/366574

Photo Source: www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2016/06/06/366574

The post বরফহীন হচ্ছে সুমেরু সাগর! appeared first on NSSB.

উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টর –একমাত্র লেকটিও দূষিত

$
0
0

6 June 2016. অরূপ দত্ত:

লেকটি খনন করা হয়েছিল সৌন্দর্য সৃষ্টির জন্য। আরও একটি কারণ, এলাকাকে পরিবেশবান্ধব করে তোলা। কিন্তু উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের লেকটি এখন ময়লা- আবর্জনায় ভরা। লেকপাড়ে দাঁড়িয়ে কেউ যদি সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান, নাকে রুমালচাপা দিতে হবে। গতকাল রোববার এলাকায় গিয়ে এমন অবস্থাই দেখা যায়। সেক্টর এলাকায় নাগরিক সেবা বলতে যা বোঝায়, তা প্রায় নেই। যা কিছু প্রাপ্তি, এসেছে এলাকার কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে। একটিও খেলার মাঠ নেই। কাঁচাবাজার নেই। মসজিদও নেই। নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেল, সেক্টরের যে লে-আউট প্ল্যান, তাতেও ঘাটতি। সেখানে খেলার মাঠ, মসজিদ—কিছুই রাখা হয়নি। লেক রাখা হয়েছে, কিন্তু সেই লেক সুরক্ষার জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নিয়মিত কোনো ব্যবস্থা নেয় না। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ২ নম্বর সড়কসংলগ্ন লেকপাড়ে দাঁড়িয়ে দেখা যায়, ভাসছে ডাবের খোসা, ছেঁড়া স্যান্ডেল, জুতাসহ গৃহস্থালির বারোয়ারি বর্জ্য। লেকপাড়ে পড়ে আছে পরিত্যক্ত কাঁথা-কম্বল, ডিম রাখার ভাঙা খাঁচি, পশুর হাড় সবই। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আকিল আহমেদ সকাল-সন্ধ্যায় লেকপাড়ে আসতে ভালোবাসেন। গতকাল অসময়ে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। বললেন, ‘বাসায় বিদ্যুতের ঝামেলা হয়েছে। একটু বাতাসে দাঁড়াতে এসেছি, কিন্তু শান্তি পাচ্ছি না। লেকপাড়ে দাঁড়ালে মনে হয় আবর্জনার প্রদর্শনী দেখছি।’ ৫ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দীন বলেন, রাজউকের কাছে বারবার আবেদন জানানো হয়েছে। এমনকি সমিতির প্রতিনিধিদল রাজউক কার্যালয়ে গিয়ে দেখাও করেছে, কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। লেক বাঁচাতে সমিতি চেষ্টা করে যাচ্ছে। উত্তরা প্রকল্পের পরিচালক রাজউকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। পরে রাজউকের উত্তরা স্থানীয় কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে বলা হয়, তারা যতটা সম্ভব লেক রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। কিছু লোকজন লেককে ডাস্টবিন মনে করে গৃহস্থালির যাবতীয় বর্জ্য ফেলে। জনসচেতনতা ছাড়া লেক রক্ষা করা কঠিন। এলাকায় কোনো খেলার মাঠ না থাকলেও ৫ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ের পেছনে একটি শিশুপার্ক রয়েছে, যা সমিতিরই তৈরি। সেক্টরের নারীরাও এই পার্কে হাঁটেন। আরেকটি পার্ক রয়েছে কিছু দূরে। সেখানে সন্ধ্যার পর হাঁটাচলা অসম্ভব। বখাটেদের আড্ডা জমে। চলে মাদক সেবন। সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, উচ্ছৃখলদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এলাকার রাস্তাঘাট বেশির ভাগই ভাঙাচোরা। ২২টি সড়কের মধ্যে আটটির মেরামতকাজ চলছে। বাকিগুলো এ বছর হবে না। পরবর্তী বাজেটে সেগুলোর সংস্কার হবে বলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. কুদরত উল্লাহ বলেন। উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে স্কুল-কলেজ নেই। এলাকার ৪ নম্বর সড়কের বাসিন্দা গৃহিণী আফিফা রহমান বলেন, এই সেক্টরে ভালো বা খারাপ কোনো স্কুলই নেই। এটা তাঁদের জন্য অসুবিধাজনক। সন্তানকে দূরে অন্য সেক্টরে নিয়ে যেতে হয়। ৭ নম্বর সড়কের বাসিন্দা, ব্যবসায়ী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘৪ নম্বর সেক্টরে ২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। ৭ নম্বর সেক্টরে ৩০টি। কিন্তু ৫ নম্বর সেক্টরে কোনো স্কুল নেই, এটা অবশ্যই অস্বাভাবিক। বেশি থাকার দরকার নেই, অন্তত তিনটি স্কুল থাকলে সমস্যা কী? তাতে যানজট তো হবে না।’ তবে স্কুল না থাকলেও যানজট দেখা গেল সেক্টরের ১ ও ২ নম্বর সড়কে। দুপুর ১২টার দিকে সেখানে দীর্ঘ যানজট দেখা যায়। সংকেত বাতি কাজ না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান। আর রাতে সেক্টরের অনেক সড়কে বাতি নেই। বিশেষ করে সেক্টরের ড্রাইভওয়েতে যাওয়ার পথে । এতে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে। এলাকায় একটিও মসজিদ নেই বলে দুঃখ প্রকাশ করেন ৩ নম্বর সড়কের প্রবীণ বাসিন্দা আবদুর রহমান। বললেন, অন্তত জুমার নামাজ আদায় করার জন্য যখন রোদের মধ্যে অন্য সেক্টরে যেতে হয়, অনেক অসুবিধা হয়। ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. কুদরতউল্লাহ বলেন, বাতি না জ্বলার কারণ পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Source: www.prothom-alo.com/bangladesh/article/879607

Photo Source: www.prothom-alo.com/bangladesh/article/879607

The post উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টর – একমাত্র লেকটিও দূষিত appeared first on NSSB.

তরু-পল্লবের আলোচনা ও বৃক্ষরোপণ

$
0
0

প্রকৃতিতে গ্রীষ্মের বিদায়ের সুর। ম্লান হয়ে পড়েছে জারুল, সোনালু, কৃষ্ণচূড়ার রং। কিন্তু গ্রীষ্মের দাবদাহ এতটুকু কমেনি। এমন একটি দিনে গত শনিবার নিসর্গী অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মা এসেছিলেন লালমাটিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। প্রকৃতি ও পরিবেশবিষয়ক সংগঠন তরু-পল্লব আয়োজিত বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন উপলক্ষে তিনি স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি বৃক্ষরোপণে আরও আন্তরিকভাবে কাজ করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজধানীর লালমাটিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের অশ্বত্থতলায় আয়োজিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন কথাসাহিত্যিক বিপ্রদাশ বড়ুয়া, তরু-পল্লবের সহসভাপতি শাহজাহান মৃধা, সাধারণ সম্পাদক মোকারম হোসেন, কেকা অধিকারী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তরু-পল্লবের মুখপত্র প্রকৃতিপত্র ও পরিবেশবিষয়ক একটি নির্দেশিকাপত্র বিতরণ করা হয়। আলোচনা শেষে স্কুল প্রাঙ্গণে কনকচাঁপা, মণিমালা, নাগলিঙ্গম, অশোক, স্বর্ণচাঁপা, অঞ্জন, নাগেশ্বরসহ প্রায় ২০টি দুর্লভ প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করা হয়।

Source: www.prothom-alo.com/bangladesh/article/879532

Photo Source: www.facebook.com/photo.php?fbid=1798394233726725&set=pcb.1798397717059710&type=3&theater

The post তরু-পল্লবের আলোচনা ও বৃক্ষরোপণ appeared first on NSSB.

Black kite

$
0
0

Black kite

Black kite

Black kite Black kite Black kite Black kite Black kite Black kite

বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিভাগঃ-
Scientific Classification

রাজ্য / Kingdom: Animalia
বর্গ / Order: Accipitriformes
পরিবার / Family: Accipitridae
গন / Genus: Milvus
প্রজাতি / Species: M. migrans


Black kite


বাংলা নামঃ
ভুবন চিল
English Name: Black kite
Scientific Name: Milvus migrans

DescriptionDistributionReport Us

ভুবন চিল (Black Kite) প্রাণী জগতের Chordata(কর্ডাটা) পর্বের Aves(এভিস) শ্রেণীর Accipititridae(অ্যাক্সিপিট্রিডি) গোত্রের অন্তর্গত Milvus(মিলভাস) গণের এক প্রজাতির মাঝারি আকারের শিকারী পাখি। এই প্রজাতিটি গোদা চিল, বাদামী চিল, ডোম চিল নামেও পরিচিত। ভুবন চিলের বৈজ্ঞানিক নাম Milvus migrans (যার অর্থ পরিজায়ী চিল; গ্রিক Milvus = চিল, migrans = পরিযায়ন)। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ভাষায় এই পাখিটির জন্য পৃথক পৃথক নাম রয়েছে। যেমনঃ সাঁওতালি ভাষায় এর নাম কুরিত, সিংহলিতে রাজালিয়া, অসমীয়ায় চিলানা ও মুগাচারানি; সিন্ধিতে নাম সিরিউন।

বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীতে এই প্রজাতির মোট সংখ্যা ১০-৬০ লক্ষ; যা আপাতত সন্তোষজনক। এই কারণে আইইউসিএন এর রেড লিস্টে ভুবন চিল ন্যূনতম বিপদ্গ্রস্ত অথবা Least Concern (LC) হিসেবে স্থান পেয়েছে।

ভুবন চিল লম্বা চেরা লেজওয়ালা কালচে-বাদামি মাঝারি আকারের শিকারী পাখি। এর দৈর্ঘ্য কমবেশি ৬১ সেন্টিমিটার, ডানা ৪৩.৮ সেন্টিমিটার, ঠোঁট ৩.৬ সেন্টিমিটার, পা ৫.২ সেন্টিমিটার ও লেজ ২৬.৫ সেন্টিমিটার। পুরুষ চিলের ওজন ৬৩০-৯৩০ গ্রাম এবং স্ত্রী পাখির ওজন ৭৫০-৯৪০ গ্রাম। স্ত্রী ও পুরুষ পাখির চেহারা অভিন্ন। তবে স্ত্রী পাখি পুরুষ পাখির তুলনায় একটু বড় হয়। প্রাপ্তবয়স্ক পাখির দেহ স্পষ্ট গাঢ় লালচে-বাদামি। পিঠ কালচে লাল-বাদামি। ডানার উপরের অংশের মধ্য-ঢাকনি বরাবর ফিকে বাদামি রঙের ফিতা থাকে। ওড়ার সময় এর ডানার নিচের সাদা প্রাথমিক পালকগুলো স্পষ্ট নজরে পড়ে। ঠোঁট স্লেট-কালো। চোখ বাদামি; এবং পা ও পায়ের পাতা ফিকে হলুদ। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির মাথা ও পেটে প্রশস্ত সাদাটে কিংবা পীতাভ ডোরা থাকে। গায়ে অনিয়মিত ফিকে তিলা দেখা যায়। তখন দূর থেকে এদের হালকা বাদামি দেখায়। উপপ্রজাতিভেদে ভুবন চিলের চেহারায় বিভিন্নতা দেখা যায়।

ভুবন চিল সুযোগসন্ধানী খাদক। এর খাদ্যতালিকা বেশ বিশাল। এর খাদ্যতালিকা স্থানীয় খাদ্যের যোগানের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। পানির আশেপাশে আবাস হলে মাছই এদের প্রধান শিকার হয়। অনেকসময় এরা মৃত বা রুগ্ন মাছও খায়। আহত, মৃত বা অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখি, স্তন্যপায়ী, ব্যাঙ, সরিসৃপ ও পোকামাকড়ও খায়। গ্রামে প্রায়ই এদের হাঁস-মুরগির ছানা ছিনতাই করতে দেখা যায়। বর্জ্যভূক পাখি হিসেবে কসাইখানা, বর্জ্য-স্তুপ,  মাছবাজার ও পোতাশ্রয়ে ওরা উচ্ছিষ্ট ও বর্জ্য খায়। প্রায়ই উচ্ছিষ্ট বা পশুর মৃতদেহ খায়।

খাদ্যের সন্ধানে এরা আকাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অলস ভঙ্গিমায় চক্কর কেটে বেড়ায়। এরা খুব কমই ডানা ঝাপটায়। ডানার তুলনায় শরীর হালকা হওয়ায় এরা অনেক্ষণ ডানা না ঝাপটে ভেসে বেড়াতে পারে। নৌকার হালের মতো লেজ ব্যবহার করে ঝটপট দিক বদল করতে পারে। উড়তে পারে বাতাসের প্রতিকূলেও। খাদ্যের সন্ধান পেলে এরা ডানা গুটিয়ে ফেলে ও ঝাঁপ দিয়ে শিকার ধরে।

মার্চ থেকে মে ভুবন চিলের প্রধান প্রজনন ঋতু। এ সময় পুরুষ চিল আকাশে চক্রাকারে উড়তে থাকে এবং হঠাৎ ঝাঁপ দিয়ে ডালে বসে থাকা স্ত্রী চিলের পিঠে এসে নামে। স্থানভেদে প্রজনন মৌসুমে বিভিন্নতা দেখা যায়। উঁচু গাছে কাঠি, ডালপালা ও কাঠি দিয়ে এলোমেলো মাচার মত বাসা বানায়। উঁচু দালানে পানির ট্যাঙ্কেও বাসা করতে পারে। বাসায় নষ্ট কাগজ, পাখির পালক, ছেঁড়া কাপড়, শুকনো গোবর, কাদা, উজ্জ্বল প্লাস্টিকের বস্তুও থাকে। বাসার উচ্চতা ভূমি থেকে ৫ মিটার থেকে ৩০ মিটার পর্যন্ত হয়। বাসা বানানো হয়ে গেলে ২-৪টি ডিম পাড়ে। ডিমের রঙ পাটল-সাদা। ডিমের মাপ ৫.৩ × ৪.৩ সেন্টিমিটার। ৩০ থেকে ৩৪ দিনে ডিম ফুটে ছানা বের হয়। ছানারা প্রায় দুই মাস বাসায় থাকে। স্ত্রী ও পুরুষ উভয় চিলই বাসা বানায়, ডিমে তা দেয় ও সন্তান লালন-পালনের ভার নেয়। দুই বছর বয়সে ছানারা প্রজননক্ষম হয়।

(Sakib Chowdhury Abir)

 

তথ্যসূত্রঃ

(১) উইকিপিডিয়া

(২) রেজা খান, বাংলাদেশের পাখি (ঢাকা: বাংলা একাডেমী, ২০০৮), পৃ. ১৮৯-১৯০

(৩) বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি, খণ্ড: ২৬ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯), পৃ. ২৩৩।

দুই মেরু আর দুই আমেরিকা মহাদেশ বাদে প্রায় পুরো পৃথিবী জুড়ে এদের বিস্তৃতি। খোলা বিস্তীর্ন এলাকা ভুবন চিলের প্রিয় এলাকা। এছাড়া ঘন বন, পাতলা বন, পার্বত্য অঞ্চল, নদীর পাড়, বেলাভূমি, বন প্রান্ত, ঘাসবন, সাভানা প্রভৃতি অঞ্চলে দেখা যায়। এছাড়া বড় বড় বন্দর, শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলেও দেখা যায়।

[ninja_forms id=6]

The post Black kite appeared first on NSSB.

‘টেস্টটিউব’ পেঙ্গুইন

$
0
0


26 May 2016. এএফপি:

হামবোল্ডট পেঙ্গুইনের এক জোড়া ছানা জন্মেছে জাপানে। তবে স্বাভাবিক উপায়ে নয়, কৃত্রিম প্রজনন প্রক্রিয়ায়। বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা এই জাতের পেঙ্গুইনের কৃত্রিম প্রজননে সাফল্য এটিই প্রথম। পেঙ্গুইনের ছানা দুটি গত মাসের শুরুর দিকে জন্ম নিলেও তাদের ছবি গতকাল বুধবার প্রথম প্রকাশ করেছে শিমোনোসেকি মেরিন সায়েন্স মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। সেখানকার গবেষণাগারে প্রথমে একটি পুরুষ পেঙ্গুইনের শুক্রাণু হিমায়িত করে রাখা হয়। পরে তা তরল করে একটি নারী পেঙ্গুইনে গর্ভসঞ্চার ঘটান গবেষকেরা। কৃত্রিম প্রজননের এ প্রক্রিয়া ‘টেস্টটিউব পদ্ধতি’ নামে পরিচিত। হামবোল্ডট পেঙ্গুইনের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি প্রয়োগের রাতারাতি সাফল্য মেলেনি। প্রাণীটির শুক্রাণু সংগ্রহ করে হিমায়িতকরণ এবং ঠিক সময়ে স্ত্রী পেঙ্গুইনের গর্ভাশয়ে স্থাপনের মাধ্যমে কৃত্রিম প্রজননের সঠিক পদ্ধতিটি নিরূপণের জন্য গবেষকেরা চার বছর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইয়ামাগুচি এলাকার ওই পেঙ্গুইন সংরক্ষণাগারের কর্মকর্তা তেপেই কুশিমোতো বলেন, ছানা দুটি নিরাপদে জন্ম নিয়েছে। কৃত্রিম প্রজনন প্রক্রিয়ার এ সাফল্যে তাঁরা আপ্লুত। বারবার চেষ্টায় এ সাফল্যের দেখা মিলেছে। বিলুপ্তপ্রায় হামবোল্ডট পেঙ্গুইন পাখি উড়তে পারে না। এদের সংরক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ জরুরি। প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার কাজে যুক্ত সংস্থা আইইউসিএন ইতিমধ্যে প্রাণীটিকে ‘অরক্ষিত’ ঘোষণা করেছে। উত্তর আমেরিকার পেরু ও চিলির উপকূলীয় অঞ্চলে হামবোল্ডট পেঙ্গুইনের দেখা মেলে। তবে বিভিন্ন কারণে এদের সংখ্যা কমেছে। এসবের মধ্যে রয়েছে তেল চুইয়ে সমুদ্রদূষণ, অতিরিক্ত মাছ আহরণের ফলে পেঙ্গুইনের খাবারের সংকট এবং মাছ ধরার জালে আটকে মাঝারি আকারের পেঙ্গুইনের মৃত্যু ইত্যাদি। কৃত্রিম উপায়ে পেঙ্গুইনের জন্ম এবারই প্রথম নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়েগোর সিওয়ার্ল্ড নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রায় দুই বছর আগে একই পদ্ধতিতে ম্যাজেলানিক পেঙ্গুইনের ডিম ফুটিয়েছিল।

Source: www.prothom-alo.com/technology/article/868843

Photo Source: tribune.com.pk

The post ‘টেস্টটিউব’ পেঙ্গুইন appeared first on NSSB.

তাজমহলের মর্মরে সবুজ ছোপ কারণ মাছি

$
0
0


26 May 2016. বিবিসি:

ভারতের বিখ্যাত স্থাপত্য নিদর্শন সপ্তদশ শতকে তৈরি তাজমহলের গায়ে সবুজ রঙের ছোপ পড়ছে। পাশের যমুনা নদীর দূষণে সেখানে সৃষ্ট কাইরোনোমিড জাতীয় মাছির আক্রমণেই মুঘল সম্রাট শাহজাহানের প্রেমের অনন্য এই নিদর্শনের এমন দুর্দশা। পরিবেশবাদী ডি কে জোসি বলেন, কাইরোনোমিড মাছির প্রবল আক্রমণেই তাজমহলের সাদা মার্বেল দিন দিন হয়ে উঠছে সবুজ। এই মাছির ব্যাপকহারে জন্ম হয় চরম দূষিত যমুনা নদীতে। এরা বিষ্ঠা ত্যাগ করে তাজমহলের গায়ে। সে থেকেই ওই সবুজ ছোপ। তাজমহলের এই সৌন্দর্যহানি রুখতে ব্যবস্থা নিতে গ্রিন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন ডি কে জোসি। তিনি বলেন, অন্তত ৫২টি নর্দমা দিয়ে দূষিত পানি পড়ছে যমুনা নদীতে।

Source: www.prothom-alo.com/international/article/868513

Photo Source: www.prothom-alo.com/international/article/868513

The post তাজমহলের মর্মরে সবুজ ছোপ কারণ মাছি appeared first on NSSB.


বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ১৪ সিংহ শাবক

$
0
0


26 May 2016. মাসুদ রানা, গাজীপুর:

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে কাছাকাছি জন্ম নিয়েছিল ১৮টি সিংহ শাবক। তাদের সবার বয়স এখন আড়াই থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে। এর মধ্যে ১২টি এখন আছে পার্কের সিংহের বেষ্টনীর পাশে বিশেষভাবে তৈরি কক্ষে। আর দুটি শাবক আছে পার্কের চিকিৎসাকেন্দ্রের একটি কক্ষে। পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, চারটি সিংহী ১৪টি সিংহ শাবকের জন্ম দিয়েছে। এর মধ্যে আফ্রিকান ধূসর লাল সিংহ দম্পতির ঘরে দুটি প্রায় সাদা রঙের শাবকের জন্ম হয় গত ২৬ জানুয়ারি। কুশলী ও চতুর বিবেচনা করে শাবক দুটির নাম রাখা হয় হিটলার ও বুশ। তাদের বয়স এখন চার মাস। বাকি ১২টি শাবকের বয়স এখন আড়াই মাস থেকে পাঁচ মাস। জন্মের পর সাদা শাবক দুটি দেখতে কিছুটা ব্যতিক্রম হওয়ায় মা সিংহ তাদের দুধ খেতে দিত না। এতে তারা দুর্বল হয়ে যাচ্ছিল। পরে পার্কের চিকিৎসাকেন্দ্রে একটি সুরক্ষিত কক্ষে তাদের রাখা হয়। অ্যানিমেল কিপার নুরুন নবী হিটলার ও বুশ নামে শাবক দুটির যত্ন নেওয়া শুরু করেন। নিজেই ফিডার দিয়ে থাইল্যান্ড থেকে আনা কোকুকেট নামের বিশেষ ধরনের দুধ প্রতিদিন আটবার করে খাওয়াতে শুরু করেন। এখনো তাদের দিনে দুবার করে দুধ খাওয়ানো হয়। অন্য শাবকদের মতো প্রতিদিন কিছু পরিমাণে মাংসও খেতে দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে নুরুন নবীর সঙ্গে হিটলার ও বুশের সখ্য গড়ে ওঠে। কর্তৃপক্ষ জানায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে বেষ্টনী আছে প্রায় ৫০টি। সিংহ শাবকগুলো থাকে একটি বেষ্টনীতে। পার্ক প্রতিষ্ঠার পর শুরুর দিকে দেড় বছর বয়সী ১৮টি সিংহ এখানে আনা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। সেই থেকে সব সিংহকে এই বেষ্টনীতে রাখা হয়েছে। আর শাবকগুলো ও তাদের মাকে রাখা হয়েছে আলাদা বেষ্টনীতে। পার্কের চিকিৎসক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সিংহী একসঙ্গে দুই থেকে তিনটি বাচ্চা প্রসব করে। গতকাল সকালে সাফারি পার্কে গিয়ে দেখা যায়, অ্যানিমেল কিপার নুরুন নবীর সঙ্গে খেলছে হিটলার ও বুশ। নুরুন নবী বলেন, এ দুটি ­শাবক এখনো হিংস্র হয়ে ওঠেনি। তবে বড় হয়ে উঠলে তখন আর কাছে যাওয়া যাবে না।

Source: www.prothom-alo.com/bangladesh/article/868774

Photo Source: www.prothom-alo.com/bangladesh/article/868774/

The post বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ১৪ সিংহ শাবক appeared first on NSSB.

ইন্দোনেশীয় কৃষক ও Luwak Coffee

$
0
0

কলেজ পড়ুয়া তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সত্তর বছরের বৃদ্ধ লোককেও কফির পেয়ালা হাতে চুটিয়ে আড্ডা দিতে দেখা যায়। প্রাচীন কাল থেকেই কোমল পানীয় হিসেবে কফি মানুষের মন জয় করে নিয়েছে।বর্তমান আধুনিক সভ্যতায় কফি ছাড়া কাউকে আপ্যায়নের কল্পনাই করা যায় না। কফি মূলত Rubiaceae পরিবার ভুক্ত সপুষ্পক পেরিনিয়াল গুল্ম জাতিয় উদ্ভিদ যার বৈজ্ঞানিক নাম Coffea arabica L. ধারনা করা হয় আরবের কোন দেশে প্রথম কফির চাষাবাদ শুরু করা হয়েছিলো এবং সেই ধারনা থেকেই এর স্পেসিসের নামকরন করা হয়েছে arabica যার প্রথম বর্ণনা করেন ফ্রেঞ্চ প্রকৃতিবিদ Antoine de Jussieu এবং তিনি প্রথম এর নামকরন করেছিলেন Jasminum arabicum, তারপর এই স্পেসিমেন নিয়ে আমস্টারডামের বোটানিক্যাল গার্ডেনে অনেক গবেষনা করা হয় এবং কার্ল লিনিয়াস ১৭৩৭ সালে একে নতুন গন Coffea তে স্থান দেন।

এক সময় আমরা চা এর শুধু মাত্র একটি ভ্যারাইটি বাজার থেকে কিনে আনতাম কিন্তু আজকাল বিভিন্ন রকমের সুগন্ধি চা বাজারে পাওয়া যায় তা নিশ্চই আপনারা জানেন। তেমনি কফি নিয়ে বিভিন্ন গবেষনা চলছে কিভাবে একে স্বাদে ও গন্ধে আরো উন্নীত করা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় বহুকাল আগে থেকেই ইন্দোনেশিয়ায় বিশেষ পদ্বতি অনুসরন করা হচ্ছে এবং সফলতার সাথে সারা বিশ্বে সরবরাহ করছে। তারা Luwak Coffee বা Cat Poop Coffee নামে এক প্রকার বেশ দামী কফি আবিস্কার করেছে যা বহুদিন যাবৎ বাজারে পাওয়া যায়। Luwak বা cat poop হলো বিশ্বে খুবই দুস্প্রাপ্য ও দামী এক প্রকার কফি যার প্রতি কাপের মুল্য ৮০ মার্কিন ডলার বাংলাদেশী টাকায় যার মূল্য ছয় হাজার চার শত টাকা।

গাছে কফি বিন। কফি গাছ Civet Cat (খাট্টাস) প্যাকেট জাত Luwak Coffee Civet Cat এর বিস্টা বা মল (Faeces) যা দিয়ে Luwak coffee তৈরি করা হয়। একটি কফি বিনের বিভিন্ন স্থর দেখানো হয়েছে।

১৭০০ শতাব্দির প্রথম ভাগে ইন্দোনেশীয় কৃষকরা ডাচ দের কফি বাগানে কাজ করতো ও কফি চাষ করতো। উৎপাদিত সব কফি বিন তখন ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করা সম্পুর্ন নিষেধ ছিলো কারন সরাসরি ইউরোপে পাঠিয়ে দেয়া হতো নিজের দেশের জন্য কিছুই রাখা সম্ভব হতো না। এই পরিস্থিতিতে তখন ইন্দোনেশীয় কৃষকরা উৎপাদিত কফি বিন সংগ্রহ করে খাট্টাস জাতিয়(বিড়ালের মত এক প্রকার প্রানী যাকে ইংরেজিতে Civet Cat বলা হয়) প্রানীদের খাবার হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্বান্ত নিলো কারন এই ভাবে যদি কিছু কফি বিন নিজেদের জন্য রাখা যায়। খাট্টাসের পাকস্থলী তে শুধু কফি বিনের উপরের Pericarp টি ডাইজেস্ট হয়ে বিস্টা বা পায়খানার সাথে শক্ত বিন গুলো বের হওয়ার পরে তা সংগ্রহ ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে নিজেদের চাহিদা পুরন করতো।

ডাচ রা এই পরিস্থিতি বুঝতে পেরে Civet Cat নিধনে মনোনিবেশ করলো কিন্তু তৎকালীন সময়ে এদের বিস্তার এত বেশী ছিলো যে নিধন করেও এদের রোধ করতে পারেনি। উপায় না দেখে ডাচ রা Civet Cat এর বিস্টা থেকে কফি বিন সংগ্রহ করে তা দিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে কফি বানিয়ে দেখলো বিন থেকে সরাসরি যে কফি পাওয়া যায় তা থেকে খাট্টাসের বিস্টা থেকে সংগৃহীত বিন দিয়ে তৈরি কফির এ্যরোমা স্বাদ অনেক বেশী। ব্যাস ডাচ দের কাছে Civet Cat এর কদর বেড়ে গেলো কিন্তু বেচারা ইন্দোনেশীয় কৃষক তাদের কোন কুলই রক্ষা হলো না।

Civets Cat কফি বিন খেতে পছন্দ করে। বিন এদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেমে যাওয়ার পর fermentation সহ আরো অনেক রাসায়নিক ক্রিয়া বিক্রিয়া ঘটে। বিড়ালের পাকস্থলী নিসৃত প্রোটিওলাইটিক এনজাইম কফি বিনের উপর চুঁইয়ে পড়ে যার ফলে পেপটাইড উৎপন্ন হয় ও এমাইনো এসিডের প্রাচুর্যতা দেখা যায়। ফলে অনন্য সুবাস ও এ্যরোমা যুক্ত কফি পাওয়া যায়। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই বিন গুলোকে Luwak কফিতে পরিনত করা হয়।

অনেকের ধারনা অনন্য স্বাদ গন্ধ ও এ্যরোমার জন্য নয়, শুধু এর অনন্য গল্পের কারনেই এই কফি এত বিক্ষাত হয়েছে বা সারা পৃথিবীতে এর চাহিদা এত বেশী বেড়েছে। আমি এর গল্প শুনে অল্প অল্প ভালোবেসেছিলাম তাই ইন্দোনেশিয়া সফরকালে এক পেয়ালা পান করার সুযোগ নিয়েছিলাম যদিও এটি আমার জন্য বিলাসিতা ছিলো তাতে কি পৃথিবী বিক্ষাত কফি বলে কথা! হয়ত অনেকে আমার Luwak কফি পানের কথা জেনে “ওয়াক থু” ও ছি ছি করছেন। সুধী পাঠক সাধারন কফির তুলনায় Luwak কফির টেস্ট ৫০ গুন বেশী এককথায় অসাধারন! অসাধারন!! অসাধারন!!! তার চেয়েও অসাধারন ইন্দোনেশীয় কৃষক ভাইয়েরা কারন এই অবদান তাঁদের।

ছবিঃ গুগলের সৌজন্যে।

The post ইন্দোনেশীয় কৃষক ও Luwak Coffee appeared first on NSSB.

শত্রু তুমি বন্ধু তুমি দুরিয়ান (Durian)

$
0
0

13254104_1244483748895437_5498865823259206390_n

পৃথিবীতে উদ্ভিদ,ফল ও ফুলের যে বৈচিত্রতা পরিলক্ষিত হয় তা অন্য কোন ক্ষেত্রে এতটা দেখা যায় না। সুধি পাঠক বিচিত্র একটা ফল দুরিয়ান নিয়ে কিছু তত্ব ও তথ্য পরিবেশন করছি। দুরিয়ান হলো তীব্র সুগন্ধযুক্ত ফল দেখতে আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের মত। এটি দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার একটি পেরিনিয়াল সপুষ্পক উদ্ভিদ। যদি আপনি থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা ভ্রমণ করে থাকেন তাহলে নিশ্চই এই ফল দেখেছেন ও কেউ কেউ হয়ত খেয়েছেন। এখন বাংলাদেশের সুপার শপেও পাওয়া যায়।
এটি Malvaceae পরিবারের (উপপরিবার Helicteroideae) Durio গণভুক্ত উদ্ভিদ। কার্ল লিনিয়াস এর বৈজ্ঞানিক নামকরন করেন Durio zibethinus L. বর্তমানে এর প্রায় ৩০ টি প্রজাতি আছে যার মধ্যে ৯ টি প্রজাতি ভক্ষন যোগ্য। যেহেতু zibethinus প্রজাতিটিই আন্তর্জাতিক বাজারে পাওয়া যায় সংগত কারনেই আমি এই প্রজাতিটি নিয়ে আলোচনা করছি।
Durian শব্দটি এসেছে মালয় ও ইন্দোনেশীয় ভাষা থেকে যার মানে হলো কাটা (Spike), এই ফলে অসংখ্য কাটা থাকে যা কাঁঠালের চেয়ে সরু। পাকা ফলের ভিতরের অংশ দেখতে কাঁঠালের কোষের মত হলুদ মিস্টি ও তীব্র সুঘ্রানের জন্য এই ফল খুবই জনপ্রিয়। এছাড়া এর জনপ্রিয়তার আর একটি প্রধান কারন হলো এর পুষ্টিগুণ। অনেক পুরুষ লিবিডো বাড়ানোর জন্য এই ফল ভক্ষণ করে থাকেন।

13239375_1244483728895439_7918031716823343486_nদুরিয়ানের ফুড-ফুড রিয়েকশন খুবই ভয়াবহ। কথায় আছে “সৎ সংগে স্বর্গ বাস অসৎ সংগে সর্বনাশ” এই ফলের ব্যাপারটা অনেকটা এরকম। সুধী পাঠক চলুন দেখি এর ভয়াবহতা।
এ পর্যন্ত অনেক রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে যাতে দেখা যায় দুরিয়ান (Durian) ফল কোকা কোলা, এলকোহল, কফি অথবা দুধের সাথে খেলে মৃত্যু ঘটায়। Kim-Siang Ng নামের চাইনিজ টুরিস্ট থাইল্যান্ডে বেড়াতে যেয়ে দুরিয়ান খাওয়ার পরে কোকা কোলা পান করে মৃত্যু বরণ করেন।
দুরিয়ান ও কোক কম্বিনেশন কে কোবরা পয়জনের সাথে তুলনা করে সাধারন জনগনকে সতর্ক করে দেয়া হয় দুরিয়ান খাওয়ার পর পরেই কোকা কোলা, এলকোহল, উচ্চ মাত্রায় ক্যাফেইন ও দুধ পান না করার জন্য। থাইল্যান্ডে আরো সতর্ক করা হয় দুরিয়ান খাওয়ার ৮ ঘন্টার মধ্যে উচ্চ মাত্রায় ক্যাফেইন সমৃদ্ব পানীয়, এলকোহল ও কোকা কোলা পান না করার জন্য।
সুত্র মতে চাইনিজ পর্যটক Kim এর মৃত্যুর কারন ছিলো দুরিয়ান খাওয়ার পরেই উচ্চ মাত্রায় ক্যাফেইন পান করা ফলে caffeine intoxication হয় যার জন্যই শরীরে রক্তচাপ অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যায়।

13256549_1244483785562100_31948285128496768_n
Tsukuba বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক John Maninang ও Hiroshi Gemma দুরিয়ান ও কোকা কোলা কম্বিনেশনকে deadly combination বলে অখ্যায়িত করেছেন। তাঁরা প্রমান করতে সক্ষম হন যে দুরিয়ান ফলে (Durian) উচ্চ মাত্রার সালফার থাকে ফলে এলকোহল ভাংতে (মেটাবলিজম) বাধা প্রদান করে ও যে সব এনজাইম(Aldehyde dehydrogenase) শরীর থেকে দুষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে সেই এনজাইমগুলোর কার্যক্ষমতা ৭০ ভাগ নস্ট করে দেয়। এই স্টাডি থেকে প্রমানিত এনজাইমের ক্রিয়া নস্ট করে দেয়ার জন্য শরীর থেকে বর্জ্য নিঃসৃত করতে পারে না ও এলকোহল ক্যাফেইন ভাংতে(metabolism) পারে না বলেই মৃত্যু ঘটে।
সতর্কতাঃ এই ফল খাওয়ার সুযোগ হলে নিশ্চই খাবেন কিন্তু খাওয়ার ৮/৯ ঘন্টার মধ্যে কোকা কোলা জাতিয় পানীয়,চা, কফি,দুধ ও এলকোহল পান করা থেকে বিরত থাকবেন।
টীকাঃ
লিবিডো(Libido) হলো যৌন চাহিদা। পুরুষের ক্ষেত্রে testosterone হরমোন লিবিডো বাড়াতে প্রধান ভুমিকা পালন করে। সুতরাং দুরিয়ান ফলে পুরুষের testosterone হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে।
ছবিঃ গুগলের সৌজন্যে।

The post শত্রু তুমি বন্ধু তুমি দুরিয়ান (Durian) appeared first on NSSB.

কণ্ঠী নিমপ্যাঁচা

$
0
0


31 May 2016. সৌরভ মাহমুদ :

শালিক, বুলবুলি, ফিঙেসহ নানান পাখির চেঁচামেচি। সাধারণত পাখিরা কোনো বিপদের আঁচ পেলে অনেক পাখি মিলে চেঁচামেচি শুরু করে। ছোট পাখিরা সাধারণত বড় কোনো শিকারি পাখি যেমন বাজ, ইগল, প্যাঁচা দেখলে ভয় পায় এবং সবাই মিলে তাড়িয়ে দিতে চায়। সম্প্রতি বাগেরহাটের মংলা গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেল। একঝাঁক পাখির দল একটি কণ্ঠী নিমপ্যাঁচাকে দেখে চেঁচামেচি শুরু করেছে, আমগাছের ডালে বসে থাকা প্যাঁচাটিকে ঠোকর দিচ্ছে ব্রোঞ্জ ফিঙে। যেন গ্রামের সেই ঝোপ থেকে তাকে তাড়িয়ে দেবে। এসব জ্বালাতন সহ্য করেও প্যাঁচাটি উড়ে গিয়ে বসল আমগাছের অন্য ডালে। অনেকক্ষণ পর চেঁচামেচি থেমে গেল। অন্য পাখিরা উড়ে গেল। প্যাঁচা মাঝারি আকারের নিশাচর পাখি। বাংলাদেশে ১৬ প্রজাতির প্যাঁচার বাস। গ্রামীণ বন, পাহাড়ি বন এবং শহরে প্যাঁচা বসবাস করে। কণ্ঠী নিমপ্যাঁচা বন ও ফলের বাগানে বিচরণ করে। সচরাচর একা কিংবা জোড়ায় থাকে। দিনে গাছের পাতার আড়ালে বসে ঘুমায়। রাতে শিকার খোঁজে। খাবার তালিকায় আছে ফড়িং, টিকটিকি, গোবরে পোকা, ছোট পাখি। দিনের বেলায় ঘন পল্লব গুচ্ছময় গাছ, বাঁশবনে, গাছের কোটরে লুকিয়ে থাকে, যাতে মানুষ সহজে দেখতে না পায়। দিনে প্রায় সারাক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখে, মাঝে মাঝে চোখ খোলে। ঢাকার মিরপুর জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের বাঁশবনে গেলে কণ্ঠী নিমপ্যাঁচার দেখা পাওয়া যায়। সারা রাত বিরতি দিয়ে ডাকে টুউ বা নিম শব্দে। প্রজনন মৌসুম ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল। গাছের কাণ্ডের প্রাকৃতিক ফোকরে কিংবা কাঠঠোকরা পাখির পরিত্যক্ত বাসায় ডিম পাড়ে। ডিম সাদা, সংখ্যায় তিন-পাঁচটি। এটি বাংলাদেশের সুলভ আবাসিক পাখি। বাংলাদেশ বাদে চীন, কোরিয়া, সাইবেরিয়ায় দেখা যায়। কণ্ঠী নিমপ্যাঁচা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্যাঁচা। এ প্যাঁচার কান-ঝুঁটি লম্বা। দেহের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৪ সেন্টিমিটার, ওজন ১৭০ গ্রাম। পিঠের দাগ ধূসর-বাদামি। দেহের নিচের দিকের পালক পীতাভ। পিঠ ধূসর-বাদামি, তাতে সাদাটে তিলা থাকে। ঘাড়ে কালচে বাদামি লাইন এবং পীতাভ পট্টি থাকে। চোখ কমলা বা বাদামি, হলদে সাদা পদতল, পা ও নখর মাংসল-ধূসর থেকে কৃষ্ণ ও জলপাই রঙের। নিচের ঠোঁট কালো ও হলুদ মিশেল ওপরের ঠোঁট সবুজাভ, গোড়া ফিকে ও আগা কালো। ছেলে ও মেয়েপাখির চেহারা অভিন্ন। কণ্ঠী নিমপ্যাঁচার দেখা পাওয়া মুশকিল, তবে রাতের বেলায় ডাক শুনে চেনা যায়।

Source: www.prothom-alo.com/bangladesh/article/873817

Photo Source: www.prothom-alo.com/bangladesh/article/873817

The post কণ্ঠী নিমপ্যাঁচা appeared first on NSSB.

গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ- এক তৃতীয়াংশ প্রবাল বিলীন

$
0
0


31 May 2016. এএফপি :

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের প্রবালের ৩৫ শতাংশ ক্ষয়ে হয়ে গেছে বা বিলুপ্তির পথে রয়েছে। বিজ্ঞানীরা গতকাল সোমবার এ কথা জানান। সাগরের ওপর এবং নিচ থেকে কয়েক মাস ধরে জরিপ চালিয়ে গত মার্চ মাসে প্রবাল হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন বিজ্ঞানীরা। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলেই ইউনেসকোর এই বিশ্ব-ঐতিহ্যে প্রবাল ক্ষয় ঘটছে বলে জানান টেরি হিউস। তিনি অস্ট্রেলিয়ার জেমস কুক ইউনিভার্সিটির অস্ট্রেলিয়ান রিসার্চ কাউন্সিল অব এক্সেলেন্স ফর কোরাল রিফ স্টাডিজের পরিচালক। তিনি বলেন, ‘ আমরা ৮৪টি প্রবালপ্রাচীরে জরিপ চালিয়ে দেখেছি সেগুলোতে গড়ে ৩৫ শতাংশ প্রবাল হয় হারিয়ে গেছে বা হারিয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে। গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে টাউনসভাইল থেকে পাপুয়ার নিউগিনিতে এ জরিপ চলে।’ টেরি হিউস বলেন, ‘গত ১৮ বছরে তৃতীয়বারের মতো উষ্ণায়নের জন্য প্রবাল ক্ষয় ঘটল এই গ্রেট ব্যারিয়ার রিফে। এ দফায় প্রবাল ক্ষয়ের পরিমাণ আগে থেকে অনেক বেশি।’ নতুন প্রবাল গঠন হতে অন্তত এক দশক সময় লাগে। তবে টেরির মতে, পুরোনো ও বড় প্রবাল পুনর্গঠন হতে এর চেয়ে বেশি সময় লাগবে। গত এপ্রিলে জেমস কুক ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক জানান, ২ হাজার ৩০০ কিলোমিটারের ৯৩ শতাংশ প্রবাল আক্রান্ত হয়েছে। সমুদ্রের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে প্রবাল ক্ষয় ঘটে । গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের দক্ষিণাংশে প্রবাল ক্ষয়ের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। অস্ট্রেলিয়ার বেসরকারি সংগঠন মেরিন সায়েন্স কনজারভেশন সোসাইটি সরকারের কাছে প্রবাল রক্ষায় আরও তৎপর হওয়ার দাবি জানিয়েছে।

Source: www.prothom-alo.com/international/article/873256

Photo Source: www.prothom-alo.com/international/article/873256

The post গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ- এক তৃতীয়াংশ প্রবাল বিলীন appeared first on NSSB.

Viewing all 364 articles
Browse latest View live